স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কক্সবাজার সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। গতকাল সোমবার দুপুরে হাসপাতালে পৌঁছলে কর্মকর্তা—কর্মচারীরা তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। তিনি জরুরি বিভাগ, বিভিন্ন ওয়ার্ড, অপারেশন থিয়েটার ও হাসপাতালের নানা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। সরাসরি কথা বলেন রোগীদের সাথে। এসময় চিকিৎসকেরা মন্ত্রীকে হাসপাতালের নানা সংকটের কথা তুলে ধরেন। যা তড়িৎ সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি। পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী অপারেশন থিয়েটার—২ ও শেখ রাসেল শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। পরে তিনি কক্সবাজার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে মতবিনিময় করেন।
এসময় তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। সেখানে অচিরেই স্থাপিত হবে জরুরী বিভাগ। কক্সবাজার সদর হাসপাতালের অত্যাধুনিক জরুরী বিভাগ প্রতিনিয়ত জীবন রক্ষা করছে। কিন্তু এই হাসপাতালে রোগীর চাপ বেশি। অনেকেই বেড না পেয়ে মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছে। তাই সদর হাসপাতালে ২০০—৩০০ শয্যা বাড়ানো হবে। হাসপাতালে নবনির্মিত ভবনে এই কার্যক্রম দ্রুত শুরু হবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘স্থানীয় ও রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে সরকার ও বিদেশীরা। ইতোমধ্যে টেকনাফে ১২টি ক্লিনিক উদ্বোধন হয়েছে। আরও ৮৮টি ক্লিনিক উদ্বোধন হবে। এসব ক্লিনিকের মাধ্যমে মানুষ স্বাস্থ্য সেবা পাবে। উপজেলার হাসপাতালগুলোতে নানা সংকট রয়েছে। শিগগিরই সেসব হাসপাতালে যন্ত্রপাতি ও জনবল বাড়ানো হবে। আর রোগী যেখানে বেশি হবে সেখানে বেড বাড়ানো হবে। উপজেলার প্রত্যেক হাসপাতালে স্থাপন করা হবে ব্লাড ব্যাংক, সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন। এতে মা ও বাচ্চার শিশুর মৃত্যুর হার কমবে।’
মন্ত্রী করোনা ভ্যাকসিনের বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরে বলেন, ‘করোনা মহামারীতে সারা পৃথিবী যখন কাবু তখন বাংলাদেশ দক্ষতার সাথে সামাল দিয়েছে। করোনায় বাংলাদেশে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৩০ হাজারের মতো আর আমেরিকায় মৃত্যু হয়েছে ১২ লাখ। করোনা টিকা প্রয়োগেও বাংলাদেশ আমেরিকাকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশে^ ৫ম স্থান ও এশিয়ায় ১ম স্থান অধিকার করেছেন।’
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত সচিব জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন, সিভিল সার্জন মো. মাহবুবুর রহমান ও কক্সবাজার সদর হাসপাতারে তত্ত্বাবধায়ক মোমিনুর রহমান।