কক্সবাজার সমুদ্র এলাকায় বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনের যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের তিন প্রতিষ্ঠান।
১ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের সবুজ বিনিয়োগ প্রস্তাবে সরকারের প্রাথমিক সম্মতি মিলেছে।
কক্সবাজার সাগরের ভেতর (অফশোর) প্রস্তাবিত এলাকায় এ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে সম্প্রতি তিন বছরের অনুমোদন দিয়েছে জ্বালানি বিভাগ।
এর আগে জুলাইয়ে ডেনমার্কের কোপেনহেগেন ইনফ্রাস্ট্রাকচার পার্টনারস (সিআইপি), কোপেনহেগেন অফশোর পার্টনার্স (সিওপি) এবং বাংলাদেশের সামিট গ্রুপ এ বিনিয়োগের (এফডিআই) প্রস্তাবনাটি জমা দেয়।
সামিট গ্রুপ বলছে, এই বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পটি দেশের উপকূলবর্তী সম্পদের সর্বোৎকৃষ্ট ব্যবহারের একটি ভালো সুযোগ।
আমদানি করা জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর সরকারি পরিকল্পনার সঙ্গেও সংগতিপূর্ণ।
জীবাশ্ম জ্বালানির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয়বহুল হয়ে পড়ায় দেশে দ্রুত বড় আকারে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে তোলা প্রয়োজন।
ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনমিকস অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিসের (আইইইএফএ) অনুমান বলছে, দেশের এই সবুজ রূপান্তরের জন্য বার্ষিক ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন।
সামিট, সিআইপি ও সিওপির শতকোটি ডলারের প্রকল্প প্রস্তাবটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বিনিয়োগ খাতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।
২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত সিআইপি বর্তমানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিশ্বের অন্যতম তহবিল ব্যবস্থাপক। প্রতিষ্ঠানটি এখন পর্যন্ত জ্বালানি ও এ-সংক্রান্ত অবকাঠামোতে ১৯ বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ করেছে।
উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, ইউরোপ, এশিয়া এবং ওশেনিয়াজুড়ে তাদের কর্মকাণ্ড বিস্তৃত। আর সিওপি অফশোর বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পের উৎপত্তি, নির্মাণ ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশে বেসরকারি বিদ্যুৎ খাতের অন্যতম নীতিনির্ধারক সামিট গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটির হাতে রয়েছে ১৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্র।
গ্রুপটি বেসরকারি বিদ্যুৎ খাতের স্থাপিত ক্ষমতার ১৭ শতাংশ এবং দেশের মোট স্থাপিত ক্ষমতার ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।
এই গ্রুপের বিদেশি অংশীদারদের মধ্যে রয়েছে– জাপানের জেরা, মিতসুবিশি করপোরেশন, তাইও ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ও যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল ইলেকট্রিক (জিই)।