বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল উত্তাল হয়ে পড়েছে। জোয়ারের পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে দুই-তিন ফুট বৃদ্ধি পেয়ে কূলে আঘাত হানছে। এর মধ্যে সোমবার থেকে কক্সবাজার শহরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এমন বৈরী পরিবেশের মধ্যেই পর্যটকেরা ঝুঁকি নিয়ে উত্তাল সমুদ্রে গোসল করতে নামছেন। ট্যুরিস্ট পুলিশ, বীচ কর্মী,লাইফগার্ড কর্মীরা নানাভাবে চেষ্টা করেও পর্যটকদের সমুদ্র থেকে তুলে আনতে পারছেন না।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২) বিকেলে বিশাল ঢেউয়ের ধাক্কায় ঢাকা নবাবগঞ্জের বারডা চরকান্দী এলাকার আলি আহমদ এর ছেলে হালিম ভেসে যায়। হালিমের ভেসে যাওয়া দেখে তাকে উদ্ধার করতে ল শিবগঞ্জ আকিরা এলাকার আবু সুফিয়ান এবং আসমাউল সমুদ্রে নাসলে তাঁরাও ভেসে যায়। পরে বীচ কর্মী, ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যদের সহযোগিতায় লাইফগার্ড কর্মীরা সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়ে এই তিন পর্যটককে উদ্ধার করেন।
বীচ কর্মীদের সুপারভাইজার মাহাবুব জানান, উদ্ধার হওয়া তিন পর্যটক সৈকতে আনলে কিছু সময় পর সুস্থতা অনুভব করে। পরে তাদেরকে সমুদ্র সৈকত থেকে আবাসিক হোটেলে পাঠানো হয়।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের কক্সবাজার কার্যালয়ের আবহাওয়াবিদ জানিয়েছে, টানা তিন দিনের বৃষ্টির পর আগামীকাল থেকে কমতে পারে বৃষ্টি। তবে অপরিবর্তিত আছে ৩ নং সতর্কতা সংকেত।
পাঠকের মতামত