বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত বিভিন্ন স্থান থেকে কক্সবাজারে আসা পর্যটক মায়েদের জন্য সমুদ্র সৈকতে স্থাপন করা হয়েছে শিশুদের ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার ( মাতৃদুগ্ধ পানের স্থান)।
শনিবার (১৭সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কলাতলী পয়েন্ট এই ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার ও উদ্ধারকৃত শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র উদ্বোধন করেন কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশ।
এসময় প্রজেক্টের উদ্যোগক্তা কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কক্সবাজার লাখো পর্যটক ভ্রমনে আসেন। শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানোর প্রয়োজন পড়লে বিচে কোন জায়গা পাওয়া যায় না তাই খুবই বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হয়। ব্রেস্ট ফিডিং সেন্টার হওয়ার ফলে এখন ছোট শিশুদের নিয়ে বিচে আসতে কোন চিন্তা করতে হবেনা।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে কুমিল্লা থেকে বেড়াতে আসা ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার ব্যবহার করে এক বছর বয়সী এক শিশুর মা তামান্না বলেন, টুরিস্ট পুলিশের উদ্যোগটি অবশ্যই প্রশংসনীয়। জনসমাগমস্থলে দুধ পান করানো নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।এখন ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপন হওয়ায় কোনও অস্বস্তিতে পড়তে হয় না।
পর্যটকরা আরও বলেন, যেহেতু এখন সৈকতের একটি পয়েন্টে করা হয়েছে, সৈকতের প্রতিটা পয়েন্টে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপন করা দরকার। কারণ মায়েদের সৈকতে আসলে ওই সময়েও সন্তানদের দুধ পান করাতে হয়। ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার থাকলে নির্দ্বিধায় দুধ পান করানো যায়।
ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার উদ্বোধন করার সময় উপস্থিত ছিলেন, কালের কণ্ঠের বিশেষ প্রতিবেদন তোফায়েল আহমেদ, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর ইসলাম, প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক দীপক শর্মা দিপু, ট্যুরিস্ট পুলিশের অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) গাজী মিজান সহ অন্যান্যরা।