নিউজ ডেস্ক ::
বিপন্ন প্রজাতির উদ্ভিদসমূহ সংরক্ষণের জন্য কক্সবাজার সরকারি কলেজে স্থাপিত হচ্ছে প্ল্যান্ট টিস্যু কালচার ল্যাব। মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদফতরের নির্দেশনায় সারাদেশের নির্বাচিত ২৫টি সরকারি কলেজে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই ল্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের তত্ত্বাবধানে এই ল্যাবে উৎপন্ন হবে বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদের চারা।
দেশের প্রায় ছয় হাজার প্রজাতির উদ্ভিদের মধ্যে ৫০০ বেশি প্রজাতির উদ্ভিদ বিলুপ্তির পথে। আবার কোনো কোনো প্রজাতি মাত্র দুই একটি করে টিকে আছে এবং স্বাভাবিক বংশ বৃদ্ধিও হচ্ছে না।
অনেক প্রজাতির তথ্য থাকলেও খুঁজে পাওয়া যায় না। এসব অতি বিপন্ন উদ্ভিদ প্রজাতি যদি বিলুপ্ত হয়ে যায় তাহলে তাদের ওপর নির্ভরশীল জীববৈচিত্র্যের অস্তিত্ব হবে সংকটাপন্ন এবং পরিবেশের ওপর পড়বে এর বিরূপ প্রভাব।
তাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা তথা ইকোসিস্টেম স্বাভাবিক রাখতেই সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কক্সবাজার সরকারি কলেজে স্থাপিত হচ্ছে প্ল্যান্ট টিস্যু কালচার ল্যাব।
এই ল্যাবরেটরিতে টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে উৎপন্ন বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদের চারা সংরক্ষণ করা হবে কলেজে এবং আশপাশের স্কুল-কলেজসমূহের অব্যবহৃত জায়গায়।
বর্তমান সরকারের গৃহীত সমাজিক বনায়ন কর্মসূচিতেও এ প্ল্যান্ট টিস্যু কালচার ল্যাব অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কৃষিতেও নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে এই টিস্যু কালচার প্রযুক্তি।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ.কে.এম ফজলুল করিম চৌধুরী বলেন, একটি দেশের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য দেশের মোট আয়তনের ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা প্রয়োজন হলেও আমাদের দেশে বর্তমানে যে পরিমাণ বনভূমি রয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুব কম। এভাবে বনভূমি কমে গেলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। বিরল উদ্ভিদসমূহ সংরক্ষণে স্থাপিতব্য এই প্ল্যান্ট টিস্যু কালচার ল্যাব সামাজিক বনায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।