কক্সবাজার সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের সমুদ্র দূষণ, প্লাস্টিক, পরিবেশ প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের ব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সৈকতে নির্মাণ করা হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্লাস্টিক দানব ভাস্কর্য। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন দানবটি তৈরি ও প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করেছে। সুগন্ধা পয়েন্টের বালিয়াড়িতে মূর্তিরূপে দাঁড়িয়ে থাকা দানবটি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন কক্সবাজারে আগত পর্যটক ও স্থানীয়রা। সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে এ দানবের প্রদর্শনী চলবে আগামী চার মাস। গতকাল বুধবার সকালে বিশালাকৃতির এই দানবটির উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের গভর্নিং বর্ডির সদস্য মো. জামাল উদ্দিন বলেন, কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন সৈকত উপকূল থেকে সংগৃহীত ১০ টন পরিত্যক্ত প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা বিভাগের একজন শিক্ষার্থী গত ৮ নভেম্বর থেকে এটি নির্মাণের কাজ শুরু করেন।
৩ ডিসেম্বর নির্মাণকাজ চূড়ান্ত হয়। ভ্রমণে আসা পর্যটকদের সচেতন করার পাশাপাশি সমুদ্রের দূষণ প্রতিরোধে মানুষ যেন প্লাস্টিকের এই দানবটি দেখে শিক্ষা নিতে পারে, সেই লক্ষ্যে আমাদের এ আয়োজন।
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের স্থানীয় সমন্বয়ক মোহাম্মদ মোবারক বলেন, বিশালাকৃতির আকাশছোঁয়া দানব। যার উচ্চতা ৬২ ফুট। এবার দানবটি এসেছে ভয়ঙ্কর মূর্তিরূপ ধারণ করে, তার সঙ্গে বিস্তৃত বালিয়াড়ির সৈকতে দাঁড়িয়ে রয়েছে আরও দুটি ছোট আকৃতির দানব। যাদের উচ্চতাও ১৫ ফুট করে।
রক্ত-মাংস ও প্রাণহীন ভাস্কর্য তৈরিতে ?অংশ নেওয়া ঢাবির চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী আবির কর্মকার ও নির্ঝর বলেন, আমরা এক মাস কষ্ট করে এটি তৈরি করেছি। আমরা চাই আমাদের এই কাজের মাধ্যমে মানুষ প্লাস্টিকের ব্যাপারে সচেতন হোক। যদি ১০ জন মানুষও এখান থেকে শিক্ষা নেয়, তা হলে আমাদের কষ্ট সার্থক হবে।
ঢাকার ধামরাই থেকে যাওয়া পর্যটক মনিরা, মহুয়া ও আফরোজা বলেন, প্রথমে আমরা দূর থেকে দেখে ভয় পেয়েছিলাম। কাছে এসে দেখি একটি প্লাস্টিকের দানব। আমরা প্লাস্টিকের ব্যাপারে এখান থেকে শিক্ষা নিতে পারব। তাদের মতো অনেক পর্যটককে এই প্লাস্টিকের দানবটি ঘুরে দেখতে দেখা যায়।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, প্লাস্টিকের ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করতে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করছে। তার অংশ হিসেবে এই আয়োজন। এর মাধ্যমে কক্সবাজারে আসা পর্যটক ও স্থানীয়রা প্লাস্টিকের ব্যাপারে সচেতন হবে