ঢাকা: বেরসকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ‘সরব’ ছাত্ররাজনীতির চর্চা না থাকার কারণেই শিক্ষার্থীরা জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ছে বলে মনে করে ছাত্রলীগ। এ কারণে ইতিমধ্যে ক্যাম্পাসগুলোতে কমিটি ঘোষণাও শুরু করেছে তারা। যদিও শুরুতেই অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে।
কিন্তু এ নিয়ে কী ভাবছে আরেক বৃহৎ ছাত্রসংগঠন ছাত্রদল? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই ছাত্রদলের ১নং সহ-সভাপতি এজমুল হোসেন পাইলটের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বাংলামেইলকে বলেন, মূলত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই রাজনীতির প্রয়োজন আছে। তবে ছাত্রলীগের তড়িঘড়ি করে কমিটি দেয়ার বিষয়টি অনেকটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ এসব কমিটিতে যদি কোনো জঙ্গি ঢুকে পড়ে তাহলে তা পরবর্তীতে সাংগঠনিকভাবে প্রভাব ফেলতে পারে। এটি কোনো রাজনৈতিক মতাদর্শ হতে পারে না।
ছাত্রদলও কমিটি দেয়ার কথা ভাবছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা অনেক আগে থেকেই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিটি দিয়েছিলাম। কার্যত তারা খুব একটা সাংগঠনিকভাবে সফল হতে পারেনি। তবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কমিটি রয়েছে। তারা আমাদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। আপাতত নতুন করে কমিটি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা নেই।
জঙ্গি ইস্যুতে শিগগিরই মাঠে নামবেন জানিয়ে পাইলট বলেন, আপাতত আমরা তারেক রহমানের বিষয়টি নিয়ে কর্মসূচি দিচ্ছি। তবে শিগগিরই সবাই বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে জঙ্গি ইস্যুতে মাঠে নামব। আর ক্ষেত্রে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও অংশগ্রহণ থাকবে।
অবশ্য ছাত্রদলের এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন ধানমন্ডি থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এস আশফাক। তার দাবি, কমিটির অনুমোদন তড়িঘড়ি করে দেয়া হলেও যাদের কমিটিতে নেয়া হয়েছে তারা অনেক আগে থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে। আমরা সকলের জীবনবৃত্তান্ত নিয়ে যাচাই বাছাই করে কমিটির অনুমোদন দিয়েছি। সুতরাং এখানে জঙ্গিদের সংশ্লিষ্টার কোনো সুযোগ নেই।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জুলাই ধানমন্ডি থানা ছাত্রলীগের সভাপতি সুজাউদ্দিন তুহিন ও সাধারণ সম্পাদক এস এস আশফাক ধানমন্ডিতে অবস্থিত সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন দেন।
বাংলামেইল২৪ডটকম
পাঠকের মতামত