ওবাইদুল হক চৌধুরী,উখিয়া নিউজ ডটকম::
মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে আতঙ্কে রয়েছে বিশ্ববাসী। প্রায় বেশি ভাগই দেশের মানুষ ঘরবন্দী। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হচ্ছেন না। তবু বাংলা বর্ষপঞ্জি জানান দিচ্ছে, আজ মঙ্গলবার পহেলা বৈশাখ। এরমধ্যে যু্ক্ত হলো নতুন বছর ১৪২৭।
পহেলা বৈশাখ এলেই সৃষ্টি হয় বাঙালিদের মাঝে এক ধরনের আমেজ। দেশজুড়ে থাকে নানা আয়োজন। দিনটিতে বাঙালি তার প্রাণের আবেগ ঢেলে দেয়।মেতে ওঠে নানা উৎসবে। কিন্তু এবার কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই উদযাপন করা হবে এই দিনটি।
মহাকালের পথ পরিক্রমায় আরেকটি বছর গত হয়ে আবার এক নতুন সূর্যের স্বর্ণালি আভায় সেজে উঠল হাজার বছরের ঐতিহ্যমন্ডিত আমাদের স্বদেশভূমি। পুরনো কথা, বিয়োগ ব্যথা আর যতসব গ্লানি ভুলে যাকিছু প্রাপ্তি, তাকে সঙ্গে করে এগিয়ে চলার মন্ত্রণা হোক আজ নতুন দিনের দীপ্ত আবাহন।
প্রচলিত বাংলা সনের সুত্রপাত মোগল আমলে। তার আগে এক সময় নববর্ষ পালিত হতো আর্তব উৎসব বা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। সম্রাট আকবর তাঁর নিজের সিংহাসনে আরোহনের কাল, পুরোনো বাংলা দিনপঞ্জির সৌরসন, হিজরি চান্দ্র সন এবং খ্রিস্টীয় সাল মিলিয়ে তারিখ-ই-ইলাহী ঘোষণা করেন। নতুন সনটি প্রথমে ‘ফসলি সন’ নামে পরিচিত হলেও পরে তা বঙ্গাব্দে রূপ লাভ করে। আকবর অভেদ মানুষের মহাসম্মীলনের কথা ভেবেই হয়তো এমনটা করেছিলেন। তাঁর সময়কালে বাংলার কৃষকরা চৈত্রমাসের শেষদিন পর্যন্ত জমিদার, তালুকদার এবং অন্যান্য ভূ-স্বামীর খাজনা পরিশোধ করত। পরের দিন নববর্ষে ভূস্বামীরা তাদের মিষ্টিমুখ করাতেন। এ উপলক্ষ্যে তখন মেলা এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করার রেওয়াজে পরিণত হয়েছিল।
সর্বজনের প্রাণবন্ত উৎসব হয়ে ওঠুক বাংলা নতুন বছর। প্রাণে প্রাণে বাজুক মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা। সত্য ও সুন্দরকে মাখামাখি করে কল্যাণময় হোক সবার জীবন
পাঠকের মতামত