জানা গেছে, সীমান্তে জিরো লাইনে ১৮-এ ৩ এস পিলারের কাছে লাশটি পড়েছিল। ফেলানীর মতো বিএসএফ অজ্ঞাত এই যুবকের উপর এমন নির্যাতন করেছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। বুধবার সন্ধ্যায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
২৬ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্ণেল জাহাঙ্গীর হোসেনে জানিয়েছেন, বুধবার রাত ৯টার দিকে বিএসএফ সদস্যরা পড়ে থাকা লাশটি নিয়ে গেছে। তবে নিহতের নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিজিবি ও স্থানীয়রা জানায়, বুধবার বিকালে বেনাপোল সীমান্তের জিরো ল্ইানে ১৮-এ ৩ এস পিলারের পাশেই পেট্টাপোল বন্দর নতুন টার্মিনাল (তার কাটা বেষ্টিত) প্রাচীরের পাশেই একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন মাঠে ছাগলের ঘাস কাটতে যাওয়া এক বাংলাদেশী নারী। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পায় পুলিশ ও বিজিবি। মরদেহটি দেখতে মাঠে ভিড় করেন আশপাশের এলাকার লোকজনও।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ব্যাপক নিরাপত্তা বেষ্টনিতে রয়েছে ভারতের পেট্টাপোল টার্মিনাল। তিন শতাধিক বিএসএফ দায়িত্বে রয়েছে সেখানে। টার্মিনালের প্রাচীরের উপরে তার কাটা দিয়ে করা হয়েছে বেড়া। বিএসএফ বা অন্য কেউ টার্মিনালের ভিতরে থাকা কোন ড্রাইভার বা হেলপারকে মেরে তারকাঁটায় ঝুঁলিয়ে দিতে পারে। এক পর্যায়ে তারকাঁটা থেকে পড়ে যায় মরদেহটি। ঝুঁলে থাকে নিহতের পরনের শার্ট।
বেনাপোল বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার গিয়াস উদ্দিন জানান, এই মুহুর্তে নিহতের বিষয়ে কোন মন্তব্য করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে তিনি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন। উর্ধ্বতন কর্তকর্তারা ভারতের বিএসএফ কর্তাদের সাথে যোগাযোগ করছেন।