[caption id="attachment_40596" align="alignleft" width="720"] দিলারা হানিফ পূর্ণিমা- এ এইচ মুরাদ-সাক্ষাৎকার-rtvonline[/caption]
দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। পূর্ণিমার চাঁদের মতোই সৌন্দর্য নিয়ে ঢাকাই চলচ্চিত্রকে করেছেন আলোকিত। দীর্ঘ ২০ বছরের ক্যারিয়ারে অসংখ্য দর্শকনন্দিত সিনেমা উপহার দিয়েছেন পূর্ণিমা। ‘ওরা আমাকে ভালো হতে দিলো না’ সিনেমার মাধ্যমে অভিনয়ের স্বীকৃতি স্বরূপ শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতে নিয়েছেন তিনি। মাঝে দীর্ঘ ৫-৬ বছর অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন পূর্ণিমা। সম্প্রতি নতুন লুকে ফিরেছেন তিনি। আর ফিরেই আবারও চলচ্চিত্রে সরব হওয়ার আভাস দিচ্ছেন ‘মনের মাঝে তুমি’ খ্যাত অভিনেত্রী। বর্তমানে উপস্থাপনা করছেন ‘লাভেলো এবং পূর্ণিমা’ নামে একটি সেলিব্রেটি অনুষ্ঠানের। শনিবার থেকে অনুষ্ঠানটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভিতে প্রচারিত হচ্ছে। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা, কেন তাকে চলচ্চিত্রে দেখা যাচ্ছে নাসহ এমন অনেক প্রশ্ন নিয়ে আরটিভি অনলাইনের মুখোমুখি পূর্ণিমা। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক এ এইচ মুরাদ। দুই কিস্তির সাক্ষাৎকারের আজ প্রথম পর্ব প্রকাশিত হলো।‘লাভেলো এবং পূর্ণিমা’ অনুষ্ঠানটি নিয়ে জানতে চাই
আমার নাম নিয়েই অনুষ্ঠানটি। এটি একটি সেলিব্রেটি শো। তারকাদের নানা জানা-অজানা কথা নিয়ে অনুষ্ঠানটি সাজানো হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের প্রযোজক সোহেল রানা বিদ্যুৎ অনেক দিন ধরেই শোটির বিষয়ে আমাকে বলে আসছিলেন। কনসেপ্টটি ভালো লাগায় রাজি হয়ে যাই। তবে উপস্থাপনা যে আমাকে করতে হবে এটা কখনও ভাবিনি। কাজটি আমার জন্য চ্যালেঞ্জ। কাজটি বেশ উপভোগ করছি।হঠাৎ করেই উপস্থাপনায় আপনাকে দেখা যাচ্ছে। সাবলীল উপস্থাপনার জন্য বেশ প্রশংসাও পাচ্ছেন। এই কাজটি আগে কখনো করা হয়েছে বা কোনো প্রস্তুতি ছিল কি?লাইফে কখনোই উপস্থাপনা করিনি। হঠাৎ করেই করছি। আমি ধরে নিয়েছিলাম এটা আমার অভিনয়ের একটা অংশ। একজন অভিনেত্রী হিসেবে আমাদের তো বিভিন্ন সময়ে নানান চরিত্রে অভিনয় করতে হয়। সাংবাদিক, ডাক্তার কখনো আবার উকিলের। উপস্থাপনার বিষয়টিকেও আমি সেভাবেই নিয়েছি। প্রস্তুতিটা বলতে পারেন বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখেই নিয়েছি। যারা স্বনামধন্য উপস্থাপক আছেন তাদের কাজ দেখে সাবলীলভাবে কথা বলার বিষয়টি রপ্ত করেছি। কাজটি আমার জন্য সোজা নয়। তবে অনেক চেষ্টার ফলে আমি উতরে উঠেছি বলতে পারেন।এ ধরনের অনুষ্ঠান করার ব্যাপারে কোনো অনুষ্ঠান দেখে কি আপনি অনুপ্রাণিত হয়েছেন?দেশের বাইরে কফি উইথ করনসহ অন্য শিল্পীদের বেশ কিছু টিভি শো দেখা হয়। এছাড়া আমাদের দেশে অপি করিম, বিপাশা হায়াত, সুবর্ণা আপাও (সুবর্ণা মোস্তফা) উপস্থাপনা করেছেন। আর আমি উপস্থাপনা করব এমনটা কখনো ভাবিনি। তবে অফার পাবার পর ভাবলাম কাজটা করেই দেখিনা।উপস্থাপনায় কি নিয়মিত হওয়ার ইচ্ছে আছে?যদি নিয়মিতভাবে আমাকে কেউ এই কাজে নেন তাহলে করব (হাসি)।‘ভবঘুরে’ নামে একটি সিনেমায় অভিনয়ের কথা শুনেছিলাম।এই সিনেমাটা এখনও চূড়ান্ত নয়। মানে আগে একবার শিডিউল দিয়েছিলাম। কিন্তু পরে সেটি পরিবর্তন করা হয়। পরিচালক নতুনভাবে শিডিউল এখনও নেননি।এবার ভিন্ন প্রসঙ্গে আসা যাক। বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে আপনার ভূমিকা কেমন?সমিতির কোনো সিদ্ধান্ত বা কোনো কাজ এককভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। আমি এখানে কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে আছি। শিল্পী সমিতি এরইমধ্যে যৌথনীতিমালা মেনে যাতে সঠিকভাবে যৌথ প্রযোজনার ছবি হয় এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছে। সরকার নতুন নীতিমালাও তৈরি করেছে।অন্যদিকে আমাদের সভাপতি ও সেক্রেটারি সুন্দর করে অবকাঠামোগত দিক দিয়ে শিল্পী সমিতির বেশকিছু কাজ করেছেন। সেখানে এখন শিল্পীদের বসে কথা বলার মতো একটা জায়গা তৈরি হয়েছে। সমিতির সামনেও পরিবেশটা এখন অনেক সুন্দর করা হয়েছে। অন্যদিকে ভোটার তালিকায় শুধু প্রকৃত শিল্পীরা থাকবেন এমন একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনেকেই আছেন কোনো সিনেমায় সেভাবে কাজ করেনি কিংবা একটা-দুটা পাসিং দৃশ্যে কাজ করেই শিল্পী সমিতির সদস্য হয়েছেন। এবার শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে এ ধরনের ভোটারকে বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন ভোটার তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে।