বগুড়ার শাজাহানপুরে বাল্যবিয়ে রেজিস্ট্রি করার দায়ে কাজী নুরুল ইসলাম ওরফে বাচ্চু কাজীকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে বরসহ স্বজনদের জরিমানা করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাফিউল ইসলাম ভ্রাম্যামাণ আদালত পরিচালনা করে এ দণ্ড দেন। এ সময় বর ও বরের বাবা এবং মেয়ের বাবা ও মেয়ের মামাকে এক হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের পেশকার রুহুল আমিন জানান, উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের মানিকদিপা নিশানচড়া গ্রামের নূর আলমের অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের সঙ্গে রহিমাবাদ বি-ব্লক এলাকার আকবর আলীর ছেলে কামরুল ইসলামের (৩৫) বিয়ে ঠিক হয়। গত ১৯ আগস্ট গোপনে বিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয়। আড়িয়া ইউনিয়নের কাজী নুরুল ইসলাম ওরফে বাচ্চু কাজী এই বাল্যবিয়ে রেজিস্ট্রির কাজ করেন। শনিবার বিয়ে ও খাওয়া-দাওয়ার অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাফিউল ইসলাম বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে প্রথমে সাদা পোশাকে পুলিশ পাঠিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হন। পরে তিনি ঘটনাস্থলে আসেন।
এ সময় অনুষ্ঠানে আসা বর কামরুল ইসলাম, বরের বাবা আকবর আলী এবং মেয়ের বাবা নুর আলম, ও মেয়ের মামা আব্দুল মমিন প্রামাণিককে আটক করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের বিয়ে রেজিস্ট্রির অভিযোগে আড়িয়া ইউনিয়নের বিবাহ রেজিস্ট্রার নুরুল ইসলাম বাচ্চু কাজীকে আটক করা হয়। পরে তার কাছে থেকে বিবাহ রেজিস্ট্রারের বইটি জব্দ করা হয়।