আজানের সুমিষ্ট ধ্বনিতে মুগ্ধ হচ্ছে কাতারের অমুসলিম পর্যটকরা। বিশ্বকাপ দেখতে আসা পশ্চিমারা মসজিদে ভিড় করছেন। আজানের সুর মোবাইলে রেকর্ড করেও নিচ্ছেন। ইসলাম সম্পর্কে গভীর ধারণা নিতে চান তারা। কাতারের ইসলাম প্রচারকরাও তাদের সহযোগিতা করছেন। শুধু তাই নয় ইসলাম প্রচারে স্টেডিয়ামের সামনে খোলা হয়েছে বিশেষ স্টল। অমুসলিমদের বিভিন্ন ভাষায় লেখা বই দেয়া হচ্ছে যা পড়ে ইসলাম সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাচ্ছে পর্যটকরা।
কে ঐ শোনালো মোরে আজানের ধ্বনি, মর্মে মর্মে সুর বাজিল সে সুমধুর, আকুল হইল প্রাণ নাচিল ধমনি। বাংলা সাহিত্যের কবি কায়কোবাদ ঠিকই বলেছেন। শত বছর পর হলেও সেই কথারই প্রতিফলন দেখা গেল কাতারে। বিশ্বকাপের দেশে ভিড় করেছে লাখো লাখো অমুসলিম। যাদের বড় অংশ ইউরোপ ও ল্যাটিন আমেরিকা থেকে এসেছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে এসে ইসলাম সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাচ্ছে তারা, বদলে যাচ্ছে তাদের মনোভাব। ইসলাম কবুল করার নজিরও দেখা গেছে কাতার বিশ্বকাপে। এবার অমুসলিমরা মুগ্ধ হচ্ছে আজানের ধ্বনিতে।
কাতারের পথে পথে মসজিদের দেখা মিলে। দিনে পাঁচবার সে সব মসজিদে আজানের ধ্বনি শুনা যায়। তখন এক ভিন্ন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বিশ্বকাপ দেখতে আসা অমুসলিমরা ভিড় করে আজানের সুমধুর সুর উপভোগ করার জন্য। তারা অবাক হয়, আবেগপ্রবণ হয়। অনেকে মোবাইলে সেসব সুর রেকর্ড করে নিচ্ছে।
ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো, নেদারল্যান্ডসের পর্যটকদের সংখ্যা বেশি। তাদের অনেকেই মসজিদের ইমামদের সঙ্গে কথা বলেছেন, জানার চেষ্টা করেছেন আজানের অর্থ। গভীরভাবে জানতে পেরে আরও মুগ্ধ হচ্ছেন অমুসলিমরা। কাতার বিশ্বকাপ দেখতে আসা দর্শকদের একটি করে বই দেয়া হচ্ছে যেখানে ইসলাম সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিতে পারে তারা। শুধু তাই নয়, কাতার কালচারাল সেন্টারে দোভাষিরা বিদেশি পর্যটকদের মাঝে ইসলামের প্রচার করছেন। অমুসলিম কেউ যদি ইসলাম সম্পর্কে প্রশ্ন রাখে তারও জবাব দিচ্ছেন প্রচারকরা।
প্রতিটি স্টেডিয়ামের বাইরে স্টল করেছে কাতার সরকার। যেখানে ইসলাম সম্পর্কে পরিচয় করিয়ে দেয়া হচ্ছে ফুটবলপ্রেমিদের। আর রাস্তার পাশে শত শত ইলেক্ট্রনিক্স বোর্ডে ইসলাম সম্পর্কিত তথ্য পড়তে উৎসাহ দেয়া হচ্ছে দর্শকদের। টুইটার হ্যান্ডেল জানাচ্ছে এখন পর্যন্ত প্রায় হাজার খানেক অমুসলিম ইসলাম কবুল করেছেন।
পাঠকের মতামত