কক্সবাজারের টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া পরবর্তীতে কানাডায় বসবাসরত নুর বেগম নামের এক মহিলাকে বিয়ের পর স্ত্রী ও চার বছরের পুত্র সন্তান রেখে বেড়াতে আসার কথা বলে গোপনে প্রতারণা মাধ্যমে দ্বিতীয় বিবাহ করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম হচ্ছে মামুনুর রশিদ নূর। তিনি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার খুটাখালির আব্দুল হাকিমের পুত্র।
খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে মোহাম্মদ ইউনুস, স্ত্রী ও কন্যা নুর বেগম সহ সপরিবার বাংলাদেশে পালিয়ে এসে টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়। পরবর্তীতে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের সহযোগিতায় কানাডায় চলে যায় তারা । সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে মোহাম্মদ ইউনূসের পরিবার ।
এ দিকে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীর যুবক মামুনুর রশিদ নুর জীবিকার উদ্দেশ্য ফাড়ি দেয় মালয়েশিয়ায়। মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত মামুনুর রশিদ নুর ও কানাডায় বসবাসরত নুর বেগমের মধ্যে মধ্যে মোবাইল ফোনে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে উভয় পরিবারের সম্মতিতে মালয়েশিয়া থেকে গত ২০১৬ সালে বাংলাদেশে বিবাহের উদ্দেশ্যে চলে আসে। ওই বছরের ১৪ জানুয়ারি নিকানামা সম্পাদনের মাধ্যমে উভয়ের মধ্যে বিবাহ সম্পাদন হয়। আর এ বিবাহের মাধ্যমে কপাল খুলে যায় মামুনুর রশিদ নুরের।
পিতা মোঃ ইউনুস জানান, মেয়ের সংসার সুখী করার জন্য জামাতা মামুনুর রশিদ নুরকে ভিসা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে কানাডায় নিয়ে আসা হয়।
নূর বেগম জানান, স্বামী-স্ত্রী দুজনই কানাডায় ৯ বছর ধরে বসবাস করে আসছি। বর্তমানে আমাদের সংসারে চার বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে। তিনি আরো জানান বাংলাদেশে স্বামীর বকেয়া পাওনাদারকে প্রায় ১৫/১৬ লাখ টাকা আমার পরিবার কানাডা থেকে পরিশোধ করেছে।
স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, স্বামী মামুর রশিদ নূর বেড়াতে যাবার কথা বলে দুই সপ্তাহ আগে বাংলাদেশে চলে আসে। আমাদের বিবাহের তথ্য গোপন রেখে প্রতারণার মাধ্যমে গত সপ্তাহে চকরিয়ার বদ্দার কাটা গ্রামের তাসমিন নামের এক মেয়েকে বিবাহ করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে বিবাহের দিন প্রথম স্ত্রীর আত্মীয়-স্বজন বিবাহের আসরে আসছে এমন খবর চাউর হলে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে সদ্য কানাডা ফেরত বিবাহিত মামুনুর রশিদ নুর। এ ঘটনা এলাকায় বেশ হাস্যরস সৃষ্টি হয়েছে।