কাশ্মীর ভারতের একটি রাজ্য। রাজ্যটি প্রধানত হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থিত। এই রাজ্যের দক্ষিণে ভারতের হিমাচল প্রদেশ ও পাঞ্জাব রাজ্য দুটি অবস্থিত। জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের উত্তরে-পূর্বে গণচীন অবস্থিত। এই রাজ্যের পশ্চিমে ও উত্তর পশ্চিমে লাইন অব একচুয়াল কন্ট্রোলের ওপারে কাশ্মীরের পাকিস্তান-শাসিত অংশ আজাদ কাশ্মীর ও গিলগিট-বালটিস্তান অবস্থিত।
বর্তমান কাশ্মীর ভূখণ্ডটি অতীতে কাশ্মীর ও জম্মু দেশীয় রাজ্যের অধীনস্থ ছিল। এই রাজ্যের শাসকেরা ঐতিহাসিক বৃহত্তর কাশ্মীর অঞ্চল শাসন করতেন। এখন কাশ্মীর অঞ্চলের মালিকানা নিয়ে ভারত, পাকিস্তান ও গণচীনের মধ্যে বিবাদ রয়েছে। এই বিবাদের জেরে রাষ্ট্রসংঘ ও অন্যান্য কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যটি “ভারত-শাসিত কাশ্মীর” নামে পরিচিত। অন্যদিকে পাকিস্তানের শাসনাধীনে থাকা অংশটি ভারতে “পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর” এবং পাকিস্তানে “আজাদ জম্মু ও কাশ্মীর” নামে পরিচিত।
জম্মু, কাশ্মীর ও লাদাখ -এই তিন অঞ্চল নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যটি গঠিত। শ্রীনগর এই রাজ্যের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী এবং জম্মু শীতকালীন রাজধানী। কাশ্মীর উপত্যকা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। জম্মু অঞ্চলে অনেক হিন্দু মন্দির থাকায় এটি হিন্দুদের কাছে একটি পবিত্র তীর্থক্ষেত্র। লাদাখ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৌদ্ধ সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত। এই অঞ্চলটি “ছোটো তিব্বত” নামেও পরিচিত।
১৮১৯ খ্রীষ্টাব্দে শিখ মহারাজা রণজিৎ সিংহ-এর কাশ্মীর বিজয়ের পূর্বে এখানে রাজত্ব ছিল পাশতুন উপজাতীয় দুরানী রাজবংশের। প্রথম ইঙ্গ-শিখ যুদ্ধের পর লাহোর চুক্তি অনুসারে কাশ্মীর ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির শাসনাধীনে আসে, যারা কিছুদিন পরেই অমৃতসর চুক্তির মাধ্যমে জম্মুর রাজা গুলাব সিং-কে বিক্রি করে দেয়, এর ফলে তিনি জম্মু ও কাশ্মীরে মহারাজা উপাধি লাভ করেন। এইসময় থেকে ১৯৪৭-এ দেশভাগের আগে পর্যন্ত হিন্দু মহারাজাদের অধীনে কাশ্মীর শাসিত হয় যদিও জম্মু ও লাডাখ অঞ্চল ছাড়া সমগ্র রাজ্যে মুসলমান জনসংখ্যার আধিক্য ছিল বেশি। যদিও ভারতের জনসংখ্যা পাকিস্তানের পাঁচ গুণ বেশি। তবে মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় সমান।
১৯২৫ সালে হরি সিং কাশ্মীরের রাজা হন। ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা লাভ পর্যন্ত তিনিই ছিলেন কাশ্মীরের শাসক। ১৯৪৭ সালে ভারত-বিভাজনের অন্যতম শর্ত ছিল, ভারতের দেশীয় রাজ্যের রাজারা ভারত বা পাকিস্তানে যোগ দিতে পারবেন, অথবা তাঁরা স্বাধীনতা বজায় রেখে শাসনকাজ চালাতে পারবেন। ১৯৪৭ সালের ২০ অক্টোবর পাকিস্তান-সমর্থিত আদিবাসীরা কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ করে।
কাশ্মীরের রাজা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করলেও গভর্নর-জেনারেল লর্ড মাউন্টব্যাটেনের কাছে সহায়তা চাইলেন। কাশ্মীরের রাজা ভারতভুক্তির পক্ষে স্বাক্ষর করবেন, এই শর্তে মাউন্টব্যাটেন কাশ্মীরকে সাহায্য করতে রাজি হন। ১৯৪৭ সালের ২৫ অক্টোবর হরি সিং কাশ্মীরের ভারতভুক্তির চুক্তিতে সই করেন। ২৭ অক্টোবর তা ভারতের গভর্নর-জেনারেল কর্তৃক অনুমোদিত হয়। চুক্তি সই হওয়ার পর, ভারতীয় সেনা কাশ্মীরে প্রবেশ করে অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। ভারত বিষয়টি রাষ্ট্রসংঘে উত্থাপন করে। রাষ্ট্রসংঘ ভারত ও পাকিস্তানকে তাদের অধিকৃত এলাকা খালি করে দিয়ে রাষ্ট্রসংঘের তত্ত্বাবধানে গণভোটের প্রস্তাব দেয়। ভারত প্রথমে এই প্রস্তাবে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু ১৯৫২ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচিত গণপরিষদ ভারতভুক্তির পক্ষে ভোট দিলে ভারত গণভোটের বিপক্ষে মত দেয়। ভারত ও পাকিস্তানে রাষ্ট্রসংঘের সামরিক পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী উভয় রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধবিরতি তত্ত্বাবধানে আসে। এই গোষ্ঠীর কাজ ছিল, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখা ও তদন্তের রিপোর্ট প্রত্যেক পক্ষ ও রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের কাছে জমা দেওয়া। যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে কাশ্মীর থেকে উভয় পক্ষের সেনা প্রত্যাহার ও গণভোটের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু ভারত গণভোটে এবং পাকিস্তান সেনা প্রত্যাহারে অসম্মত হয়। ভারত নিম্নোক্ত কারণে গণভোটে সম্মত হয়নি:
ভারতের মতে, ১৯৫২ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচিত গণপরিষদ ভারতভুক্তির পক্ষে ভোট দিয়েছিল এবং পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনেও কাশ্মীরিরা ভোট দিয়েছিলেন। তাই আলাদা করে গণভোটের প্রয়োজন নেই।
১৯৪৮-৪৯ সালে রাষ্ট্রসংঘের দেওয়া প্রস্তাব খাটবে না। কারণ মূল ভূখণ্ডের চরিত্র পরিবর্তিত হয়েছে। পাকিস্তান তাদের অধিকৃত কাশ্মীরের কিছু অংশ চীনকে দিয়ে দিয়েছিল।
গণভোটের বিপক্ষে ভারতের আরেকটি যুক্তি ছিল- পাকিস্তান তাদের অধিকৃত কাশ্মীরে অন্যান্য অঞ্চলের অধিবাসীদের বাস করার অনুমতি দিয়েছে।
তাছাড়া ভারতের মতে, পাকিস্তান-সমর্থিত অনুপ্রবেশকারীরা কাশ্মীর উপত্যকা থেকে ২৫০,০০০ কাশ্মীরি পণ্ডিতকে বিতাড়িত করায় ওই অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর চরিত্র পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও ভারতের অভিযোগ, পাকিস্তান ১৯৪৮ সালের ১৩ অগস্টের রাষ্ট্রসংঘের প্রস্তাব অনুসারে কাশ্মীর অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করেনি।
কাশ্মীর ও অন্যান্য কারণকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক খারাপ হয়। এরপর ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ, ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ও ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধ হয়।
ভারত ১৯৪৭ সালে সাক্ষরিত সংযুক্তিকরণ চুক্তির ভিত্তিতে পূর্বতন জম্মু ও কাশ্মীর করদ রাজ্যকে সম্পূর্ণভাবে দাবি করে। তার অধিকাংশ মুসলিম জনসংখ্যার উপর ভিত্তি করে পাকিস্তান জম্মু ও কাশ্মীর দাবি করে, অপর পক্ষে চীন শাকসাম উপত্যকা ও আকসাই চীন নিজেদের দাবি করে।
কাশ্মীর সমস্যা হল- কাশ্মীর অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভারত সরকার, কাশ্মীরি বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলি এবং পাকিস্তান সরকারের মধ্যে প্রধান আঞ্চলিক বিরোধ। যদিও ১৯৪৭-এর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীর নিয়ে আন্তঃরাজ্য বিরোধ রয়েছে, এছাড়াও কাশ্মীরি বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির সাথেও- কাশ্মীরকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্তি বা সম্পূর্ণ স্বাধীন ঘোষণা করার জন্য অভ্যন্তরীণ বিরোধ রয়েছে।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীর নিয়ে ১৯৪৭, ১৯৬৫ এবং ১৯৯৯-এ অন্ততঃ তিনটি যুদ্ধ হয়েছে। এছাড়াও ১৯৮৪ সালের পর থেকে সিয়াচেন হিমবাহ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এই দুই দেশ বেশ কয়েকটি খণ্ডযুদ্ধে জড়িত হয়েছিল। ভারত সমগ্র জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যটি তাদের বলে দাবি করে এবং যার মধ্যে ২০১০ সালের হিসাবে, জম্মু বেশিরভাগ অংশ, কাশ্মীর উপত্যকা, লাডাখ এবং সিয়াচেন হিমবাহ নিয়ে প্রায় ৪৩% অঞ্চল শাসন করছে। পাকিস্তান এই দাবির বিরোধিতা করে, যারা প্রায় কাশ্মীরের ৩৭% নিয়ন্ত্রণ করে- এর মধ্যে আছে আজাদ কাশ্মীর এবং গিলগিট বাল্টিস্থানের উত্তরাঞ্চল।
কাশ্মীরি বিদ্রোহীরা এবং ভারত সরকারের মধ্যে বিরোধের মূল বিষয়টি হল স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন। কাশ্মীরের গণতান্ত্রিক উন্নয়ন ১৯৭০-এর শেষভাগ পর্যন্ত ছিল সীমিত এবং ১৯৮৮ সালের মধ্যে ভারত সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বহু গণতান্ত্রিক সংস্কার বাতিল হয়ে গিয়েছিল। অহিংস পথে অসন্তোষ জ্ঞাপন করার আর কোনো রাস্তাই খোলা ছিল না। তাই ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার জন্য বিদ্রোহীদের হিংসাত্মক আন্দোলনের সমর্থন নাটকীয়ভাবে বাড়তে থাকে। ১৯৮৭ সালে বিতর্কিত বিধানসভা নির্বাচন রাজ্যের বিধানসভার কিছু সদস্যদের সশস্ত্র বিদ্রোহীগোষ্ঠী গঠনে অনুঘটকের কাজ করেছিল। ১৯৮৮ সালের জুলাই মাসে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল, ধর্মঘট এবং আক্রমণের মাধ্যমে শুরু হয় কাশ্মীরের অস্থিরতা।
যদিও জম্মু ও কাশ্মীরের অশান্তির ফলে হাজারো মানুষ মারা গেছে, তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দেখা গেছে যে সংঘাতে প্রাণহানির পরিমাণ অনেকটাই কম। প্রতিবাদী আন্দোলন ভারত সরকারের কাছে কাশ্মীরের সমস্যা ও ক্ষোভ জানানোর শক্তি যুগিয়েছে, বিশেষ করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে, যারা ১৯৮৯ সালে থেকে ভারত শাসিত কাশ্মীরে সক্রিয় রয়েছে। যদিও বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠী ২০০৮ সালের নির্বাচন বয়কটের ডাক দেয় তবুও বহু সংখ্যক ভোটার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবং জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার এই নির্বাচনকে সাধারণভাবে নিরপেক্ষ হিসাবে গণ্য করে। এই নির্বাচনে জয়লাভ করে ভারতপন্থী জম্মু ও কাশ্মীর ন্যাশানাল কনফারেন্স রাজ্যে সরকার গঠন করে। ভয়েস অফ আমেরিকা অনুযায়ী, বহু বিশ্লেষকের মতে, এই নির্বাচনে উচ্চ সংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি-কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের ভারতের শাসনকে সমর্থন করার ইঙ্গিত দেয়। কাশ্মীরের একজন বিশিষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সাজ্জাদ লোন যদিও দাবি করেন “উচ্চ সংখ্যক ভোটদানের হার”-কে কখনই কাশ্মীরিরা যে আর স্বাধীনতা চান না তার একটি ইঙ্গিত হিসাবে গ্রহণ না করা হয়। ২০০৯ ও ২০১০ সালের পর তথায় আবার নতুন করে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে এবং যুদ্ধের দামামা বাজছে।
কাশ্মীর পাকিস্তানের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও আজ স্বাধীনতার ৭০ বছর পরও প্রদেশটি বিদ্রোহে ফুঁসে উঠছে। কাশ্মীরের মহারাজা হরি সিং ৭০ বছর আগে ভারতে যোগ দিলেও সেখানে সব সময়ই বিদ্রোহের আগুন ধিকি ধিকি জ্বলেছে, যেটা কখনো কখনো স্ফুলিঙ্গে রূপ নেয়। তবে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু কথা দিয়েছিলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কাশ্মীরে গণভোট হবে। কিন্তু তিনি সে কথা রাখতে পারেননি।
জাতিসংঘের ৭১তম সাধারণ অধিবেশনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খুব কড়া ভাষায় ভাষণ প্রদান করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। এর ফলশ্রতিতে ভারতও তাদের মন্তব্য জানিয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানতে পেরেছি। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উভয়দেশ প্রচুর পরিমাণে সৈন্য মোতায়েনসহ বিভিন্ন ধরণের যুদ্ধ সামগ্রি কিনছে বলে সরব ওঠেছে।
এদিকে ভারতের কিছু যুদ্ধ-উন্মাদ মানুষ ছাড়া সবাই বোঝে, শান্তির বিকল্প নেই। সময় এসেছে, দুই দেশের রাজনীতিকদেরই নিজের দিকে তাকাতে হবে। যুদ্ধের কথা না বললেও তাঁদের শরীরী ভাষা ও কথা বন্ধুত্বসুলভ নয়। দেখে মনে হয়, তাঁরা যুদ্ধ ও শান্তি উভয়ের পক্ষেই কথা বলেন। যেখানে দুই দেশের মানুষই বিপদের মুখে আছে, তখন তাঁরা কেন ঘৃণার আগুন ছড়িয়ে দিচ্ছেন?
ফ্রান্স ও জার্মানি ১০০ বছরেরও বেশি সময় যুদ্ধ করেছে। আজ তারা সেরা বন্ধু। ধারণা করা হয়েছিল যে দেশভাগের পর ব্রিটিশরা চলে যাওয়ার পর হিন্দু ও মুসলমানরা পরস্পরের ওপর হামলে পড়বে কিন্তু তা না হয়ে আজ তারা সেরা বন্ধু। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ি ও মনমোহন সিং বহুবার বলেছেন, নিয়তি ভারত ও পাকিস্তানকে পাশাপাশি রেখেছে, তাদের ভালো প্রতিবেশী না হয়ে উপায় নেই।
মুম্বাই হামলায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছিলেন, কয়েক বছর আগে তাঁদের স্মরণে করাচি ও লাহোরের অল্প কিছু মানুষ মোমবাতি প্রজ্বালন করত, মিছিল করত। আমি তাদের সাহসের প্রশংসা করি। সময় এসেছে, ভারতের বুঝতে হবে। সময় এসেছে, ভারত ও পাকিস্তানের ভালো সম্পর্কের ওপর কার কতটা বিশ্বাস, তার পরীক্ষা হবে।
অতীতে যেসব যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে যার কোনোটিই মানবতার মুক্তির জন্য সুফল বয়ে আনেনি। এসব যুদ্ধ সারা বিশ্বে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছিল। বর্তমানেও উত্তপ্ত বিশ্ব পরিস্থিতিতে আরেকটি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশংকা করা হচ্ছে। বিশ্বযুদ্ধগুলোর ভয়াবহতা অনুধাবন করে এ যুদ্ধ নিয়ে কেউ ভাবতে পারে না। এখন সময় এসেছে ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ করে সভ্যতার চাঁদরে একতাবদ্ধ থাকা। বর্তমান শান্তি প্রত্যাশী মানুষ ওই সকল যুদ্ধের ভয়াবহতা জানলে যুদ্ধের দিকে আর ধাবিত হওয়ার প্রয়াস পাবেনা।
লেখক-
এম. জসিম উদ্দিন
বি.এ (সম্মান), এম.এ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
এবং
সাবেক সভাপতি
উখিয়া স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন,
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
পাঠকের মতামত