বাংলাদেশে অর্থবহ সংস্কারের তাগিদ দিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দোহাইলান ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে এ তাগিদ দেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘কিছু লোক কেবল নিজের স্বার্থ দেখে, রাষ্ট্রের স্বার্থ নয়। অন্য অনেক দেশের মতো এখানেও (বাংলাদেশ) এমনটা আছে।’
আজ রোববার ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘এনহেনসিং সাউদি-বাংলাদেশ ইকোনমিক এনগেজমেন্ট’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গবেষণা সংস্থা পলিসি এক্সচেঞ্জ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।
Video Player is loading.
Play
Unmute
Remaining Time -10:03
Close PlayerUnibots.com
অনুষ্ঠানে সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘সৌদি আরব বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক শুধু হজ ও কর্মী নেওয়াতেই সীমিত রাখতে চায় না। একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বহুমুখী সম্পর্ক চায়। কিন্তু এটা হওয়ার ক্ষেত্রে যে বাধাগুলো আছে, তা কাটিয়ে উঠতে হবে।’
বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ নিয়ে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, কোনো একটি ইস্যু নিয়ে এগোলে পদে পদে বাধা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শুরু করে প্রায় সর্বত্র এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। জ্বালানিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের আগ্রহ নিয়ে সৌদি আরবের বড় কোম্পানি আরামকো (প্রতিনিধিদল) ২০১৬ থেকে শুরু করে দুবার বাংলাদেশে এসেছে। কেউ তাদের স্বাগত জানায়নি।
বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়িয়ে অর্থনীতি চাঙা করতে চাইলে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও অর্থনৈতিক উদ্যোগ একসঙ্গে এগোতে হবে, এমনটা মনে করেন তিনি।
সৌদি আরবে ৩২ লাখ বাংলাদেশি কর্মী থাকার কথা উল্লেখ করে সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা দুহাইলান বলেন, তাঁর দেশ শুধু আধা দক্ষ কর্মী নয়, বিভিন্ন খাতে দক্ষ কর্মী চায়। কর্মীদের দক্ষতা বাড়ানোয় নজর দিতে হবে। দক্ষ কর্মী সৌদি আরব গেলে আয় দ্বিগুণ হতে পারে। আর সেখানকার অভিজ্ঞতা নিয়ে ভবিষ্যতে ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশেও যাওয়ার সুযোগ পেতে পারে।
এ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালাহউদ্দিন আহমেদ, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন ও পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ড. মাশরুম রিয়াজ।
পাঠকের মতামত