উখিয়ার কুতুপালং বাজারে রোহিঙ্গা ডাক্তার খোরশেদের চলছে রাম রাজত্ব। এসব ভুয়া ডাক্তার খোরশেদের লাগাম টেনে নাধরলে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন বাজারে ব্যাঙের ছাতার মত ঔষুধের দোকান ও প্যাথলজির ব্যবসার নামে চলছে অপচিকিৎসা। কুতুপালং রোহিঙ্গা বাজার কেন্দ্রিক ঔষুধের দোকান খুলে স্থানীয় পরিচয়ে ডাক্তারী চিকিৎসা করছে এখন কয়েকডজন রোহিঙ্গারা। যারা ডাক্তারের আদলে বেশভূষায় যন্ত্রপাতি নিয়ে চেম্বার করছে। তেমনি রোকসানা ফার্মেসীর আড়ালে নানা ডিগ্রী লাগিয়ে হরদম অপচিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গাদের আহামরি ডাক্তার খোরশেদ। স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছ থেকে মাসিক মোটা আংকের টাকার বিনিময় ভাড়া করা লাইসেন্স নিয়ে রোকসানা ফার্মেসী নাম ব্যবহার করে করছে যত আকাম কুকাম।
কুতুপালং বাজারের অলিতে গলিতে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা এসব ঔষুধের ফার্মেসী খুলে রোহিঙ্গারা নিজেদের বাংলাদেশী সেঁজে ভূঁয়া পরিচয় দিয়ে চিকিৎসার নামে অবৈধ পন্থায় হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। এতে প্রতারিত হয়ে স্বাস্থ্য হানিতে পড়েছে রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় কুতুপালং গ্রামসহ কয়েকটি আশে-পাশে গ্রামের লোকজন।
এসবের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরদারী এবং দেখ ভাল না থাকায় এখন রোহিঙ্গারা স্থানীয় দাবী করে বিভিন্ন চলচাতুরী আশ্রয় নিয়ে ও জাল সনদ তৈরি করে নিজেদের নামের আগে চিকিৎসা পত্রের প্যাডে ও ডিজিটাল সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে ডাক্তার লিখে অবাধে ঔষুধ বিক্রি করে যাচ্ছে।কথিত ডাক্তার খোরশেদ ডাক্তারের পাশাপাশি নিজেকে রোহিঙ্গা কমিউনিটির লম্বা নেতাও দাবী করে।কখনো রোহিঙ্গাদের হেড মাঝি,আবার কখনো চেয়ারম্যান, এমন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে তাঁর ব্যাপক পরিচিতি ও শক্তিশালী যোগসুত্র রয়েছে এমনই অজুহাতে নানা অপকর্ম জাহিঁর করে থাকে।খোরশেদের বিরুদ্ধে ইয়াবা সম্পৃক্ততা,মানবপাচার,মিয়ানমার কেন্দ্রিক চোরাই ব্যবসা ও হুন্ডি বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ রোহিঙ্গা ডাক্তারেরা দীর্ঘ যুগ-যুগ ধরে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নামে বেনামে ট্রেড লাইসেন্স ও নাগরিক সনদ নিয়ে এবং অন্যজনের নামে থাকা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের ডিপ্লোমা সনদ এলএমএএফ, ডিএমএডি, এমএফ, আরএমপি সনদ এবং ভূঁয়া সনদ বানিয়ে ডাক্তারী নামের এই মহা মানবসেবামূলক পেশাকে কলংকিত করছে এমন অভিযোগ উঠেছে সচেতন মহলের পক্ষ থেকে।
এসব ভূঁয়া চিকিৎকরা মনগড়াভাবে ঔষুধ লিখে রোগীদের হাতে চিকিৎসা পত্র তুলে দিয়ে থাকে এবং বিভিন্ন নিম্নমানের মেডিসিন ধরিয়ে দিচ্ছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ, শিশুসহ এলাকার মানুষের হাতে। এসব অপচিকিৎসার ফলে শরীরের উল্টো ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে নিরহ অসচেতন লোকজন।
এসব অজ্ঞ ডাক্তারেরা চিকিৎসার নামে রোহিঙ্গাদের হাতে তুলে দিচ্ছে নিষিদ্ধ ঘোষিত নিম্নমানের ইত্যাদি ঔষুধ। কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থানকারী নতুন-পুরাতন আশ্রিত রোহিঙ্গা গোষ্ঠীর মাঝে বিভিন্ন চিকিৎসার নামে ডাক্তার দাবী করে রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে রাত-দিন হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কথিত ভূঁইফোড় ডাক্তারেরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে কুতুপালং বাজারে ও কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের দুই পাশে এবং লম্বাশিয়া বাজারে।
অন্তত শতাধিক ঔষুধের দোকান রয়েছে নামে বেনামে। প্রায় ৫০ টির মত ফার্মেসীতে ঔষুধ বিক্রি ও চিকিৎসা করছেন বাংলাদেশী সেঁজে কথিত রোহিঙ্গা ডাক্তারেরা। এসব ফার্মেসীর হদিস মিলে কুতুপালং ক্যাম্পের চর্তুর পাশে।