কোচিংয়ে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হওয়ার পর ১৬ দিন ধরে কুমিল্লার সাত কলেজছাত্র নিখোঁজ রয়েছেন। দীর্ঘদিন সন্তানদের খোঁজ না পেয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন অভিভাবকরা। নিখোঁজের ঘটনায় অভিভাবকদের পক্ষ থেকে গত ২৪ আগস্ট কুমিল্লার কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
নিখোঁজ ছাত্রদের পরিবার বলছে, কোচিং শেষে তাবলিগের বয়ান শুনতে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন ওই সাত শিক্ষার্থী। তারা একে অপরের পরিচিত।
নিখোঁজ ছাত্ররা হলেন- কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ইমরান বিন রহমান (১৭), মো. সামি (১৮), কুমিল্লা সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী হাসিবুল ইসলাম (১৮), নিহাল (১৭), ভিক্টোরিয়া কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্র ইমতিয়াজ আহমেদ (১৯), তৃতীয় বর্ষের আমিনুল ইসলাম (২৩) ও ঢাকার ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করা নিলয় (২৫)।
নিখোঁজ ছাত্রদের পরিবার জানায়, যাওয়ার সময় তেমন টাকা, মুঠোফোন কিংবা পোশাকও নেয়নি তারা। নিখোঁজ হওয়া প্রত্যেকেই পরস্পরের পরিচিত। তাদের সবার বয়সই ১৭ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। পড়াশোনার বাইরে অন্য কোনো কিছুর সঙ্গে তারা জড়িত ছিল না। কলেজ ও কোচিংয়ের বাইরে বাসায় বই পড়ে সময় কাটাত।
নিখোঁজ শিক্ষার্থী ইমরান বিন রহমানের বাবা মুজিবুর রহমান বলেন, ইমরান পড়াশোনা, কলেজ ও কোচিং সেন্টার এবং মসজিদ ছাড়া কোথাও যায় না। গত ২৩ আগস্ট দুপুরে আমাকে বলে, আব্বু আমি কোচিং থেকে রেলস্টেশন মসজিদে তাবলিগের বয়ান শুনতে যাব। ফিরতে দেরি হবে, আম্মুকে বলো না। ওই দিন রাতে বাসায় না ফেরার কারণে সারারাত খোঁজাখুঁজি করি।
তিনি বলেন, নিখোঁজের পরদিন কুমিল্লা কোতোওয়ালি মডেল থানায় জিডি করি। পরে র্যাবকেও জানাই। নিখোঁজ বাকি শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও একই কথা বলছেন।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেন বলেন, আমরা কয়েকজন শিক্ষার্থী মিসিংয়ের জিডি হাতে পেয়েছি। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) থেকে কাজ শুরু করেছি। তারা দলবদ্ধভাবে কোথাও গিয়েছে, নাকি অন্য কোনো বিষয়, তা তদন্তের পর বলতে পারব।
র্যাব-১১ এর সিপিসি-২ এর কুমিল্লার অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব বলেন, আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে এই মুহূর্তে কিছু বলতে চাচ্ছি না।