কুয়েতের নতুন আমির হিসেবে শেখ মিশাল আল-আহমেদ আল-জাবের আল-সাবাহ’র নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটির সাবেক আমির শেখ নাওয়াফ আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহর মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পরই শেখ মিশালকে কুয়েতের নতুন আমির ঘোষণা করা হয়।
শনিবার কাতারভিত্তিক গণমাধ্যমে আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে একথা জানিয়েছে। শেখ মিশাল সাবেক আমিরের সৎ ভাই ও দেশটির যুবরাজ ছিলেন। তার বয়স ৮৩। এর আগে শনিবার কুয়েতের আমির শেখ নাওয়াফ আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহ মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
কুয়েতের আমিরি আদালতের মন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল সাবাহ দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, গভীর বেদনা ও দুঃখের সঙ্গে আমরা কুয়েতের জনগণ, আরব ও ইসলামী জাতি এবং বিশ্বের বন্ধুভাবাপন্ন মানুষ কুয়েতের আমির শেখ নাওয়াফ আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহর জন্য শোক প্রকাশ করছি, যিনি আজ তার প্রতিপালকের নিকট চলে গেছেন।
গত মাসে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এর আগে ২০২১ সালের মার্চে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন তিনি। তবে ওই সময়ও তাঁর অসুস্থতার কারণ জানানো হয়নি। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে শাসকদের স্বাস্থ্যগত সমস্যা গোপন রাখার রেওয়াজ আছে।
কুয়েতের আমির শেখ নাওয়াফ মারা গেছেনকুয়েতের আমির শেখ নাওয়াফ মারা গেছেন
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে কুয়েতের আমির হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন তিনি। সৎ ভাই ও তৎকালীন আমির শেখ সাবাহ আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহর মৃত্যুর পর কুয়েতের আমির হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন শেখ নাওয়াফ। এর আগে ২০০৬ সালে শেখ নাওয়াফকে দেশটির পরবর্তী আমির হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়।
আমির হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে কয়েক দশক ধরে কুয়েতের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এর মধ্যে ১৯৯০ সালে তৎকালীন ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন কুয়েতে হামলা চালানোর সময় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন শেখ নাওয়াফ। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেন।