ডেস্ক রিপোর্ট::
সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে থাকছে না কোটা পদ্ধতি। সরকারের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধা তালিকায় নিয়োগ দিতে হবে জানিয়ে কোটা সংস্কার সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের কমিটির প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব স্পষ্ট করে বলেছেন- ‘কোটা পদ্ধতি সম্পূর্ণরূপে বাতিল হচ্ছে’।
সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি জানান- এ সংক্রান্ত রিপোর্টটি মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিলে আগামী মাসেই প্রজ্ঞাপন জারি করবে সরকার।
সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতির সংস্কার চেয়ে গেলো মার্চ-এপ্রিলে রাজপথ জুড়ে আন্দোলনে ছিলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মেধা তালিকা মাফিক নিয়োগের দাবির পাশাপাশি তাদের চাওয়া ছিলো বিদ্যমান কোটা পদ্ধতির আমূল সংস্কার।
শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন আমলে নিয়েছিল সরকার। মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে প্রধান করে বিষয়টি পর্যালোচনা ও বিশদভাবে যাচাইয়ের জন্য গত ২ জুলাই উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়। বলা হয় এই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই চূড়ান্ত হবে কোটা পদ্ধতি রাখা কিংবা বাতিল নিয়ে সরকারের নীতিগত অবস্থান।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হয় কোটা পর্যালোচনা সংক্রান্ত গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটির রিপোর্ট।
ওই কমিটির নেতৃত্বে থাকা মন্ত্রিপরিষদ সচিব এই প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেয়ার কথা জানিয়ে বলেন, ‘৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড অর্থাৎ সরকারের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির নিয়োগে কোনো কোটাই থাকছে না।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘৯-১৩ যে প্রাথমিক নিয়েোগ হয়, সে নিয়োগে কোটা থাকছে না।’
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ব্রিফিং এ মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা থাকলেও সরকারের নির্বাহী সিদ্ধান্তে তা বাতিল হলে নীতিগত কোনো সংকটের আশঙ্কা নেই।’
সমাজের অনগ্রসর অংশ ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য কোটা সংরক্ষণের ইঙ্গিত প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে এলেও সে বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা থাকছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব আবারো সাফ জানিয়ে দেন- ‘কোনো কোটাই প্রযোজ্য হবে না।’
পাঠকের মতামত