সুইডেনে পবিত্র কোরআন অবমাননার ঘটনায় অভিযুক্ত ইরাকি শরণার্থীকে বহিষ্কার করতে পারে সুইডেন। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) সুইডেনের অভিবাসন সংস্থা বলেছে, সুইডিশ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার পরে তারা অভিযুক্ত ব্যক্তির অভিবাসনের অনুমতি পুনর্বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সুইডেনে তার রেসিডেন্সি পারমিট প্রত্যাহার করা হবে কি না, সেটি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
সুইডিশ বার্তা সংস্থা টিটি-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই ব্যক্তি সুইডেনে অস্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেয়েছেন। ২০২৪ সালে অনুমতির মেয়াদ শেষ হবে।
nagad
সুইডিশ আদালত রায় দিয়েছে, পুলিশ পবিত্র ধর্মগ্রন্থ অবমাননায় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তবে সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসনের সরকার চলতি জুলাইয়ের শুরুতে বলেছিলেন, কোরআন অবমাননা বন্ধে পুলিশের এখতিয়ার রাখার জন্য জনশৃঙ্খলা আইন পরিবর্তন করার সুযোগ আছে কি না, সেটি তারা খতিয়ে দেখবেন।
সুইডিশ নিরাপত্তা সংস্থা গত বুধবার বলেছে, সম্প্রতি কোরআন অবমাননার পর মুসলিম দেশগুলোতে সুইডেনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। সেই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
এদিক সুইডেন ও ডেনমার্কে কোরআন অবমাননার বিষয়ে আলোচনার জন্য অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি) আগামী ৩১ জুলাই মন্ত্রীপর্যায়ে একটি জরুরি বৈঠক ডেকেছে।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে সুইডেন এবং ডেনমার্কে কোরআন অবমাননার ঘটনায় তুরস্কসহ বহু মুসলিম দেশ বিক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। মুসলিম দেশগুলোর ব্যাপক সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে রয়েছে সুইডেন। যেখানে ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার জন্য সুইডেনের পক্ষে তুরস্কের সমর্থন জরুরি।