ডেস্ক রিপোর্ট :
রোহিঙ্গাদের মাঝে কোরবানির নামে আসা শুরু হয়ে গেছে জঙ্গি অর্থায়ন। মধ্যপ্রাচ্যের তুরস্ক, সিরিয়া, সৌদি আরব এবং ইউরোপের কয়েকটি দেশ আর অস্ট্রেলিয়া থেকে এই সব অর্থ বিভিন্নভাবে কক্সবাজারে ও বান্দরবানের কয়েকজন রোহিঙ্গা ও প্রভাবশালীদের কাছে আসতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে রোহিঙ্গা জঙ্গি সংগঠনের কয়েকজন নেতার ব্যাংক একাউন্টে বিরাট অংকের লেনদেনের প্রমান পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এই অর্থ লেনদেনে জড়িত বেশ কয়েকজনকে খোঁজছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদের থেকে ইতিমধ্যে সন্দেহভাজন কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জড়িতদের ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকারি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কয়েকজন প্রভাবশালীর জনপ্রতিনিধি ও রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতাদের উপর নজরদাড়ি বাড়িয়েছে। এইবার কোরবানির নামে আনা কোটি কোটি টাকার উৎস ও ঐ টাকা কোথায় যায় তা জানতে মরিয়া হয়েছে প্রশাসন।
কোরবানির ঈদের সময় প্রতিবছর বিপুল পরিমান অর্থ মধ্যপ্রাচ্যের তুরস্ক, সিরিয়া, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, ইউরোপের কয়েকটি দেশ, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া থেকে বৈধ ও অবৈধভাবে বাংলাদেশে আসে। বিদেশ থেকে এই অর্থ কারা পাঠায় ও এতো বিশাল অংকের টাকা কি কাজে ব্যবহার করা হয় তা নিয়ে রহস্য রয়েছে। অভিযোগ আছে রোহিঙ্গা জঙ্গি সংগঠনের অর্থ সংগ্রহের প্রধান টার্গেট হলো কুরবানির ঈদ। এই সময় রোহিঙ্গাদের মাঝে মাংশ বিতরণের নামে কোটি কোটি টাকা বাংলাদেশে আনা হয়। এই রহস্যময় কোটি কোটি টাকার বৈধতা দেয়ার জন্য কিছু টাকা দিয়ে কুতুপালং ও টেকনাফে রোহিঙ্গাদের মাঝে কিছু গরু বিতরণ করা হয়। এইসব কাজে স্থানিয় কিছু প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতাদের ব্যবহার করা হয়।
গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্যে জানা গেছে, কয়েকদিন ধরে কক্সবাজারে ও বান্দরবানের নাইক্ষংছড়িতে অবৈধভাবে বিপুল পরিমান বিদেশি তহবিল আসতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে কক্সবাজারের কয়েকটি বেসরকা্ির ব্যাংকের মাধ্যমে বিশাল অংকের টাকা রোহিঙ্গা জঙ্গিদের হাতে এসেছে। ঐ সব রোহিঙ্গা জঙ্গিরা ভুল তথ্য দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট খুলে ঐসব অর্থ বিদেশ থেকে সংগ্রহ করে উত্তলন করেছে। এই অর্থ কোথায় গেছে তার অনুসন্ধান শুরু করছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
গোয়েন্দা তথ্যে জান গেছে, আরএসওর বর্তমান প্রধান মাস্টার আইয়ুব কোরবানির নামে আরএসও ফান্ড সংগ্রহের প্রধান সমন্বয়কের কাজ করছে। তার সাথে সহযোগিতায় রয়েছে রোহিঙ্গা নেতা সালামত উল্লাহ, মৌলভী ইদ্রিস, মৌলভী আবদুর রহমান, আবু বক্কর, জঙ্গি আবু সালে, ডাঃ নুরুল আমিন, টেকপাড়ার ইসমাইল। এইসব রোহিঙ্গাদের সাথে কক্সবাজারের বেশ কিছু জনপ্রতিনিধিও জড়িয়ে পড়েছে। মূলত রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে টেকনাফের উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মৌলভী রফিক, বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান মৌলভি আজিজ, টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর মৌলভী আজিজ, হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা নূর আহম্মদ আনোয়ারী, ফালংখালির ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল গফুর, কুতুপালং এর মৌলভী বখতিয়ার মেম্বার, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম রহিম উল্লাহ, কক্সবাজার পৌরসভার কাউন্সিলর আশরাফুল হুদা সিদ্দিকি জামশেদ, আকতার কুতুবি, ঝিলংজার কুদরত উল্লাহ। সূত্র: দৈনিক কক্সবাজার
সড়ক দুর্ঘটনায় চিত্রনায়িকা পরীমণির প্রথম স্বামী ইসমাইল হোসেন জমাদ্দার (৪২) নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ...
পাঠকের মতামত