কোর্টবাজার কেন্দ্রিক কলেজ প্রতিষ্ঠা নিয়ে উখিয়া অনার্স কলেজের অধ্যাপক ও উখিয়া অনার্স কলেজের প্রতিষ্ঠাকালীন কলেজ বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোক্তা এবং যুগ্ন-আহবায়ক ও বঙ্গমাতা মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক এবং সাংগঠনিক কমিটির সদস্য বিশিষ্ঠ শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ অধ্যাপক তহিদুল আলম তহিদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) উনার ব্যক্তিগত আইডিতে যা লিখলেন তা নিচে হুবহু তুলে ধরা হল..........
প্রথমে ধন্যবাদ জানাতে চাই আপনি সহ কলেজ প্রতিষ্ঠায় যারা এগিয়েএসেছেন। আরও অন্তত একযুগ আগে কোর্টবাজার তথা পালং কেন্দ্রিক একটি কলেজ গড়ে উঠা দরকার ছিল সামগ্রিক বিবেচনায়, সে দৈন্যতা গুছিয়ে দিতে এসেছেন আমার প্রিয় তিন মূখ ত্রিরত্ন উখিয়া উপজেলার ইতিহাসের সর্বপ্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব মাহমুদুল হক চৌধুরী, এডভোকেট খোরশেদ আলম, আমার পরম দুর্দিনের সহযোগীতা প্রদানকারী এবং আমার ভাই কারণে অকারণে যার কাছ থেকে সহযোগীতা পাই মানবদরদী, জনদরদী চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে কৃতৃজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে বিনয়ের সাথে বলতে চাই প্রথমে আমি আপনাদের উপর যেমন খুশী হয়েছিলাম তেমনি আবার রুষ্ট হয়েছিলাম কলেজের জায়গা / অবস্তান, নিয়ে। কিন্তু বড় ভাই এডভোকেট খোরশেদ সাহেবের লিখা পড়ে রাগ প্রশমিত হল।
হ্যাঁ, মাঠি ভরাট করতে যেখানে কোটি টাকা দরকার, সেখানে সাধ থাকলেও সাধ্য নাই মতো অবস্থা দাড়িয়েছে, সেখানে এগিয়ে এসেছেন আপনি। আপনার পিতামহ বিশিষ্ঠ সমাজসেবক মরহুম নসরত আলী সর্দারের রেখে যাওয়া এক একর ভূমি যেখানে প্রথম প্রস্তাবিত কলেজ করার জন্য আপনি এবং উদ্যোক্তারা প্রতি যেহেতু আপনার পিতামহের রেখে যাওয়া হিরার টুকরা জায়গা কলেজের জন্য দিবেন সে জন্য উনার স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য আমি পালং এন.এ. সর্দার কলেজ অর্থাৎ (পালং নসরত আলী সর্দার কলেজ)।
নামকরণের পক্ষে।
প্রতিষ্ঠাতা এডভোকেট খোরশেদ আলম, আলহাজ্ব মাহমুদুল হক চৌধুরী, খাইরুল আলম চৌধুরী প্রমূখ যারা ভূমি দান করবেন প্রতিষ্ঠাতা হওয়ার শর্ত পূরণ পূর্বক, কারণ বাস্তবতা বড় নিষ্টুর, কারণ উখিয়া কলেজ এবং উখিয়া মহিলা কলেজ দুটি কলেজের উদ্যোক্তা ছিলাম আমি এবং সাথে ছিল বড় ভাই, কাজী সাহাব উদ্দিন। মহিউদ্দিন চৌধুরী আমার বন্ধু নুর মোহাম্মদ সিকদার আর কোর্টবাজারের রফিক উদ্দিন মাহমুদ সহ আমরা গুটি কয়েক তরুণরা। অামরা এগিয়ে আসার প্রেক্ষিতে কক্সবাজার জেলা বিএনপি সভাপতি, সাবেক চার বারের সংসদ সদস্য ও হুইপ জননেতা জনাব শাহজাহান চৌধুরীর হাতে পূর্ণতা পায়। আবার মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বিশিষ্ঠ রাজনীতিবিদ মরহুম নুরুল ইসলাম চৌধুরী।
উল্লেখ্য যে, উখিয়া কলেজ, বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদের অামি প্রতিষ্ঠাতা যুগ্মঅাহবায়ক, মহিলা, কলেজ বাস্তবায়ন পরিষদের অাহবায়ক হিসাবে ভূমিকা রাখলেও দুটি কলেজের কোথাও আমাদের নাম নিশানা নাই। তারপরও সান্তনা উখিয়ায় সর্ব প্রথমকলেজ প্রতিষ্ঠায় এবং মহিলা কলেজ পরবর্তীতে জাফর চৌধুরী এবং সাধনা দাশ গুপ্তার হাতে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব মহিলা কলেজ একটি পূর্ণাঙ্গ কলেজ হয়। আরেকটি কলেজ সরকারি করণের প্রক্রিয়ায়। তারপরও বলি, প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে নিজেদের অবদানের অবস্থানটা করে নেওয়া জরুরী। অন্যথায় প্রজন্ম জানতে পারবে না এই কলেজ করার পেছনে কার কতটুকু অবদান ছিলো।
খোরশেদ ভাই অাবারও ধন্যবাদ। আপনাকে আপনার সুন্দর লেখনীর জন্য।