ওবাইদুল হক চৌধুরী, সৌদিআরব, মক্কা থেকে::
মক্কার মিসফালায় কিছুক্ষণ হাঁটলে চারপাশের মানুষজন দেখে আপনি অবাক হতে পারেন ‘বাংলাদেশ’ ভেবে। বিদেশের মাটিতে এত বাংলাদেশি কোত্থেকে এল—সেই প্রশ্নও জাগতে পারে মনে।
বাংলাদেশের মানুষ আছে এ দেশে। এদের বেশির ভাগই এসেছে জীবিকার সন্ধানে। যাঁরা হজ করেছেন, অথবা মক্কা সম্পর্কে খোঁজখবর রাখেন, তাঁদের কাছে মিসফালা এলাকা বেশ পরিচিত। মিসফালাকে কেউ মেসফালা কেউ–বা মেচফালা বলে থাকেন।
সমতল এলাকা হওয়ায় মিসফালা বাংলাদেশিদের কাছে প্রিয়। মসজিদুল হারামের কাছে জমজম টাওয়ারের (ঘড়ি ওয়ালা বিল্ডিং) পেছনের এলাকা মিসফালা। ছোট্ট মাঠের মতো খোলা জায়গায় দিনের বেলা প্রায় সব সময় অসংখ্য কবুতর থাকে। কবুতর চত্বর বা কবুতরের মাঠ নামে পরিচিত। পবিত্র কাবা শরিফে আসা-যাওয়া করা হাজিরা এ কবুতরগুলোর জন্য গম বা খাবার কিনে ছিটিয়ে দেন। মিসফালায় রয়েছে মুন্সিয়াবাজার, কেদুয়া, আল হিজরা রোড, ইবরাহিম খলিল রোড, দাখালা, হারাতুর রুশদসহ বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য সড়ক।[caption id="attachment_68311" align="alignleft" width="1074"] মক্কার কবুতর মাঠে উখিয়া নিউজ ডটকমের সম্পাদক[/caption]
মিসফালা ব্রিজের কাছে ঢাকা হোটেল। নাম শুনেই নিশ্চিত হওয়া যায়—এই হোটেলে পাওয়া যাবে বাংলাদেশি সব খাবার। আসলেও তাই। ভাত, মাছ, মাংস, সবজি, রুটি, মিষ্টি—সবই পাবেন এখানে। তাই খাওয়া নিয়ে হজযাত্রীদের খুব একটা ঝামেলা হয় না। শুধু ঢাকা হোটেল নয়, এশিয়া, বাংলাদেশ, চিটাগাং, মদিনা, শাপলা, আল আমিনসহ বেশ কিছু হোটেল রয়েছে এখানে। এসব হোটেল থেকেই খাবার কিনে খান হাজিরা। পার্সেলে খাবার নিয়ে গেলে দুজন অনায়াসে খেতে পারেন। এ ছাড়া হাজিদের সম্মানেই মিসফালায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে খাবার বিতরণ করা হয়।মিসফালায় রয়েছে সৌদি স্বাস্থ্য ক্লিনিক; যেখানে বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারেন যে কেউ।