‘প্রিন্সিপালিটি অব সীল্যান্ড’-কে বলা হয়ে থাকে পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট দেশ। দেশটির অবস্থান নর্থ সী অঞ্চলে এবং এটি যুক্তরাজ্যের সাফোল্ক থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রের ওপর। সীল্যান্ডের রাজধানী এইচ এম ফোর্ট রুঘশ, এটি মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সময়কালের একটি নৌঘাঁটি।
নৌদুর্গটি দুটি ফাঁপা গোলাকৃতির লম্বা পিলারের ওপর নৌকাসদৃশ পাটাতনের ওপর অবস্থিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান নৌবাহিনীকে প্রতিহত করার জন্যই এইচ এম ফোর্ট রুঘশ নৌঘাঁটি স্থাপন করা হয়েছিল। সেসময় এখানে ১৫০ থেকে ৩০০ সৈন্য থাকার ব্যবস্থা ছিল। পিলারের ভেতরের বিভিন্ন তলায় মজুত করা হতো অস্ত্রশস্ত্র। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে অন্যান্য অসংখ্য দুর্গের সঙ্গে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী এই দুর্গটিকেও পরিত্যক্ত ঘোষণা করে।
১৯৬৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ নাগরিক মেজর প্যাডি রয় বেটস এবং তাঁর পরিবার এই দ্বীপের স্বত্বাধিকারী হন। তাঁরাই সীল্যান্ডকে সর্বপ্রথম স্বাধীন দেশ হিসেবে ঘোষণা করেন। রয় বেটস দেশটির প্রথম রাজা এবং শাসক। ২০১২ সালে রয় বেটস মারা যাওয়ার পর তাঁর পুত্র মাইকেল দেশটির শাসনভার গ্রহণ করেন। সাংবিধানিক রাজতন্ত্রে পরিচালিত সীল্যান্ডের নিজস্ব সংবিধান, পতাকা এবং মুদ্রা রয়েছে। সীল্যান্ডের মুদ্রার নাম সীল্যান্ড ডলার। পুরোপুরি বসবাসযোগ্য দেশটির আয়তন মাত্র ০.০২৫ কিলোমিটার। মজার ব্যাপার হচ্ছে দেশটির জনসংখ্যা মাত্র ৫০ জন। পৃথিবীর কোনো দেশ কিংবা আন্তর্জাতিক কোনো সংগঠন কোনোরকম স্বীকৃতি না দিলেও কেউ তাদের বিরোধিতাও করেনি। এ কারণে সীল্যান্ড নিজেদেরকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ বা মাইক্রোনেশন হিসেবেই দাবি করে।