নভেম্বরের মধ্যে আরও তিন হাজার জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবার আশ্রয় পাবে বলে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া জানিয়েছেন।
কক্সবাজারের খুরুশকুলের জলবায়ু উদ্বাস্তুদের সর্ববৃহৎ
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজারের খুরুশকুলের জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য হওয়া সর্ববৃহৎ আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি এ তথ্য জানান। সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে তিনি আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। যেখানে নিমার্ণাধীন ভবন পরিদর্শন, বাস্তবায়নকারী সেনা কর্মকর্তাসহ বসবাসরত উদ্বাস্তু পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলাপ করেন তিনি।
তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, বিশ্বের সর্ববৃহৎ জলবায়ু উদ্বাস্তুদের আশ্রয় কেন্দ্র এটি। যেখানে ১৯ টি ভবনে ইতোমধ্যে আশ্রয় নিয়েছেন চার হাজার পরিবার। এখন আরও ৬৫ টি ভবন নির্মাণ শেষ পর্যায়ে। আগামী দুই মাসের মধ্যে এখানে আরও আড়াই থেকে তিন হাজার পরিবার আশ্রয় পাবেন।
১৯৯১ সালের প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড়ে আশ্রয়হীন মানুষকে এক স্থানে নিয়ে এসে আশ্রয় দেয়ার একটি ইতিহাস প্রধানমন্ত্রী সৃষ্টি করেছেন মন্তব্য করে মুখ্য সচিব বলেন, এখানে প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকার বিষয়টি উঠে এসেছে। বিদ্যালয়ের জন্য জায়গা রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে স্কুল ও কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করা হবে। পরিবেশ বান্ধব এই আশ্রয় কেন্দ্রে খেলার মাঠ, মসজিদ, মন্দিরসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধাও হবে।
খুরুশকুল আশ্রয় কেন্দ্রের পশ্চিমে নদীর কিনারে দুটি আধুনিক জেটিও হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেছেন, এখানের মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য গ্রিন হাউজ প্রক্রিয়া আধুনিক শুটকি পল্লী, জেলেদের জন্য ব্যবস্থা একই সঙ্গে পর্যটন বিকাশের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এছাড়া মুখ্য সচিব খুরুশকুলের বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বিমান বন্দরের পশ্চিমে সমিতি পাড়া পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সুত্র: সময় টিভি