শায়ের বলেন ঃ “আচ্ছা মরর্জি মৌলা- আজ হামা উলা” আল্লাহ যাহা করেন ভালই করেন। সাংসদ আব্দুর রহমান বদি জামিনে ুক্তি পেয়ে ঘরে এলো ফিরে। বিলেঝিলে ধানকাটার মৌসুম; তবুও অনেক তোরণ উঠল সড়কের দু’দ্বারে। গেইটের উপরে লেখা হলো, “শুভেচ্ছা স্বাগতম” অন্যান্য উৎসাহিরাও বেনারে লিখল; খোশ আমদেদ। অতি নিকটজনরা বলল, “আহালান-সাহালান”। গেইটের নিচে দাড়িয়ে শত শত কৃষক, শ্রমিক, মজদুর বন্ধুরা উচ্চস্বরে শ্লোগান দিল, “আমার চাচা তোমার ভাই; বদি চাচা- বদি ভাই।
অন মাসের শীতে, বদি এলো উখিয়ার ঘাটে- নাফ বালার তীরে; নৌকা বোঝায় কম্বল-সম্ভল নিয়ে। আরা পাইয়ুম শীতে কম্বল, শাড়ি, লুঙ্গি, মশারী কত। বর্ষায় দূর্যোগে- গরীব-দুঃখীদেরকে, চাউল, ডাউল, লংকা, লবনও দেয়। পোড়া ঘরে; গাছ, বাঁশ, ছন ইত্যাদি পৌঁছিয়ে দেয়। কর্ণছেদ, খৎনা, বিয়েতে দেয় সম্বল। এবার কিন্তু নবান্নে- চিতল, চাইন্না, পাক্কন, আতিক্ষা, ধূই পিঠা খাব মধু ইক্ষুর গুড়, উমর রই, খেজুরের রস দিয়ে আমরা গরীব-দুঃখীজনরা, খেয়ে প্রাণ ভরে তার জন্য দোয়া করি। তাকে নিয়ে আর সরকারী-বেসরকারী; টানা খেচড়া আর নয়! সাংসদ আব্দুর রহমান বদির- নেকী কাজ গুলো কেন দেখে না? তার একটি দোষ আছে, কেউ বলে সেটাতো গুণ। সাহসী প্রতিবাদী বদি; সাংসদীয় ক্ষমতাবলে- মাঠে প্রকাশ্য; অতি লোভী দোষকৃতিকারী ফাঁকিবাজ সরকারী-বেসরকারী কর্মচারীদেরকে; “মোবাইল কোড নিয়মে” বিচার করত, আইন হাতে নিয়ে হেনস্থা করে। এ চিহ্নিত ধাপ্পাবাজদের পাছায়, পিঠে মৃদু বেত্রাঘাত তো করে না? স্বাভাবিক ভাবে বর্মী সীমান্ত দোষের গন্ধ তার গাঁয়ে লেগেছে! সোনা-রূপার পানি দিয়ে গোসল করে- ফুল-চন্ধন মেখে- দৃঢ় পণ করে: এলাকার চিহ্নিত দুষ্ঠুদের পরিহার করে চলোক। অন্তত ভুলভ্রান্তি-আত্মশুদ্ধির অবকাশতো পাবে। ইতিমধ্যে ইয়াবা-নেশা, নারী-শিশু পাচারের বিরুদ্ধে “জিহাদ ঘোষণা” করেছে। সন্ত্রাসী, গু-ামী, রাহাজানী ও অত্যাচারীর বিরুদ্ধে বিচার শুরু করেছে। সকল ছেলে-পিলে, শিশু-কিশোর যুবকদের সীমান্তের সব অবৈধ কর্ম থেকে সমান দূরে রাখতে হবে। নতুন প্রজন্মকে লেখা-পড়া,খেলা-ধূলায় যাগিয়ে তুলতে হবে।
সাংসদ আব্দুর রহমান বদি নিজেইতো, অপকটে বলে বেড়ায়:- তার বাবা কঠোর পরিশ্রম , সাহস ও সততা দিয়ে, মানুষের মন জয় করে; এজেহার কোম্পানী হয়েছে। ইউনিয়ন- উপজেলার চেয়ারম্যান হয়েছে:- স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছে। তার বাবা বিপুল সম্পত্তি রেখে গেছে। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের-ভয়াবহ-দূঃসময়ে মুক্তিযোদ্ধাগণকে এবং ক্লান্ত-শ্রান্ত, শত শত রিফুজীকে টেকনাফ থেকে বার্মার মংডুতে; “খেয়া তরীতে” পারাপারে সহায়তা করেছে! ভালো কাজের ফল তো পাবে!!
পরিস্থিতি অবলোকন ও বর্ণনায় :- “কামাল হোসেন চৌধুরী” শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও বঙ্গবন্ধুর একানিষ্ঠ সহচর।
উপদেষ্টা : প্রবীণ আওয়ামী রাজনীতিবীদ, জেলার প্রথম স্বশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, ৫০টিরও বেশি স্কুল-কলেজ, এতিমখানা-হাফেজখানা, মাদ্রাসা-মসজিদ-কবরস্থান, রাস্তা-ঘাট ইত্যাদির প্রতিষ্ঠাতা। দানবীর ও শ্রেষ্ঠ সমাজ সংস্কারক।
অনুলিখন ঃ মোশাররফ হোসেন চৌধুরী (পরিচালক : কিং ফার্ণিচার)