শামীম ইকবাল চৌধুরী,নাইক্ষ্যংছড়ি::
রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের পাঁচ মাদকসেবী থেকে এক হাজার করে সর্বমোট পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে উপজেলা ভ্রাম্যমান আদালত। রোববার ২০ নভেম্বর দুপুরে আদালতের বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নিকারুজ্জামান এই রায় প্রদান করেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ইউনিয়নের রাজঘাট গ্রামের আবদুর রহিম ওরফে গাঁজা কালু (৪২), তার ভাই নুর আহমদ ওরফে পিন্টু (৩৮), বাইশারীর রেজাউল ভূট্টো (৩৫), গর্জনিয়ার মাঝিরকাটা গ্রামের মনজুর আলম (৩৭) ও বোমাংখিল গ্রামের তরুণ ওমর ফয়সাল চৌধুরী (১৮)।
গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির নবাগত ইনচার্জ, উপপরিদর্শক (এসআই) মোঃ আহসান হাবিব বলেন, রোববার সকালে গর্জনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও এলাকার সচেতন মহলের সার্বিক সহযোগিতায় রাজঘাটের কালুর বাড়িতে আমরা অভিযান চালায়। এসময় ৭পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১০পুরিয়া গাঁজা এবং সংশ্লিষ্ট সরাঞ্জামসহ ওই পাঁচজনকে আটক করা হয়। পরে উপজেলা ভ্রাম্যমান আদালতে সোপর্দ করি। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে ভবিষ্যতের জন্য তাঁদেরকে সতর্ক করেছেন।
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, গর্জনিয়ার রাজঘাট গ্রামে নিজবাড়িতে দীর্ঘ একযুগেরও বেশি সময় আগে মাদকের হাট খুলেছেন আবদুর রহিম ওরফে গাঁজা কালু। তার এই হাট বর্তমানে প্রায় সময় জমজমাট থাকে। মূলত কালু পঙ্গু হওয়ায় হাট পরিচালনার প্রধান দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন তার স্ত্রী। কালুর বাড়িতে মাদক সেবন অথবা ক্রয় করতে যান নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা, গর্জনিয়া ও কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের শীর্ষ সন্ত্রাসী থেকে শুরু করে তরুণরাও। কালুর দেখাদেখি কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের দুটি পয়েন্টে খুচরামূল্যে ইয়াবা ট্যাবলেট ও গাঁজা বিক্রী হচ্ছে।
কথিত রয়েছে কিছু সুবিধাবাদি স্থানীয় পুলিশ সদস্যের সাথে গভির সখ্যতা রয়েছে কালুর। এই জন্য মাদক ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারেন হরহামেশা। অতিথে গর্জনিয়ার বোমাংখিল গ্রামের বাসিন্দা, সাংবাদিক হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী মাদক ব্যবসায়ী কালুর বিরুদ্ধে পত্রিকায় নানা শিরোনামে প্রতিবেদন ছাপিয়েছিলেন। এর পর গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ি একাধিকবার অভিযান চালিয়ে বেশ কজন মাদক সেবনকারীকে আটক করে। কিন্তু কিছুতেই থামানো যায়নি মাদক ব্যবসা। কূটকৌশলি কালু পঙ্গুত্বের অযুহাতে মাদক ব্যবসার পরিধিকে কৌশলে আরও বাড়াচ্ছেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করছেন গর্জনিয়াবাসী।