একজন নারীর জীবনে পূর্ণতা এনে দেয় তার গর্ভজাত সন্তান। আর সেই নারীত্বের প্রতীক সন্তানকে অকালে হারালে তা যে কী পরিমাণ কষ্টকর, তা ভুক্তভোগী ছাড়া অন্য কেউ অনুধাবনই করতে পারে না। অকালে গর্ভপাত বা মিসক্যারিজ যাদের হয়েছে তাদের দুর্বিষহ যন্ত্রণার কথা বলাই বাহুল্য। গর্ভপাত বা মিসক্যারিজের পেছনে থাকতে পারে নানা কারণ। এমনকি কিছু খাবারও হতে পারে এর পেছনে দায়ী। হ্যাঁ, তালিকায় আছে সবজিও। তাই চিনে নিন এমন কিছু খাবার এবং হোন সতর্ক।
বেগুন: বেগুন আপনার পছন্দের সবজি হতেই পারে। আর সবজিটি আয়রনের অন্যতম একটি উত্স। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেন, বেগুন এমন একটি সবজি যা মিসক্যারেজের জন্য একটি ঝুঁকিপূর্ণ কারণ হতে পারে।
পুঁইশাক: পুঁইশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে এবং আয়রন। কিন্তু আপনি যদি আপনার গর্ভকালীন অবস্থায় নিয়মিত খাদ্যতালিকায় এই সবজিটি রাখেন, তাহলে তা গর্ভপাতের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আর যদি খেতেই চান তাহলে মাসে একবারের বেশি নয়। সবচেয়ে ভালো হয় পুঁইশাক এড়িয়ে চলতে পারলে।
ব্রকোলি: তালিকায় ব্রকোলির নাম দেখে চমকে গেলেন? ব্রকোলিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এই অতিরিক্ত ভিটামিন সি গর্ভের শিশুর জন্য খুব একটা উপকারী নয়। বিশেষ করে গর্ভধারণের প্রথম তিনমাসে এটি যদি আপনি আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখেন, তাহলে হতে পারেন গর্ভপাতের শিকার।
ফুলকপি: ফুলকপিও একই কারণে গর্ভবতী মায়ের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ এতেও রয়েছে উচ্চ মাত্রার ভিটামিন সি যা গর্ভের শিশুর জন্য ক্ষতিকারক। তবে অনেকেই বলেন যে গর্ভকালীন ফুলকপি খাওয়া ভালো। তবে আধুনিক চিকিত্সাবিজ্ঞান তা সমর্থন করে না।
বীট: বীটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে এবং আয়রন, যা খাওয়া গর্ভবতী মায়েদের জন্য ঠিক নয়। তাছাড়া বীট গরমজাতীয় সবজি, যা গর্ভকালে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের কারণ হতে পারে। তাই নিজের এবং অনাগত সন্তানের খাতিরে বীট এড়িয়ে চলুন।
ক্যাপসিকাম: আজকাল প্রায় সব খাবারেই ক্যাপসিকাম দেয়া থাকে। একদিক থেকে ভাবলে সবুজ ক্যাপসিকাম স্বাস্থ্যের জন্য ভালোই। তবে এটি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় নিয়মিত রাখা গর্ভবতী মায়েদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
মরিচ: গর্ভকালীন ঝাল ও গরম খাবার যতটা এড়িয়ে চলা যায় ততটাই ভালো। অতিরিক্ত মরিচ খেলে যেমন সময়ের আগেই প্রসব হতে পারে, তেমনি হতে পারে গর্ভপাতও।