অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এ বিপুল সংখ্যক নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রোববার (১৭ ডিসেম্বর) একথা জানিয়েছেন। সূত্র : আল-জাজিরা, আল-আরাবিয়া
[৩] যুদ্ধবিরতি, হামলা বন্ধ ও জিম্মিদেরে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে হামাসের সঙ্গে চুক্তি করার জন্য আভ্যন্তরিন ও আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও অবরুদ্ধ গাজায় নির্বিচার হামলার মাত্রা আরও বাড়িয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
[৪] প্রায় তিন মাস ধরে চলা হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধের তীব্রতা দিন দিন বাড়ছেই। গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেডস যোদ্ধারা ইসরায়েলের বিভিন্ন সেনা ঘাঁটি ও অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালায়। ফিলিস্তিনিদের হত্যা ও অবমাননা এবং পবিত্র আল-আকসা মসজিদের পবিত্রতা ক্ষুন্ন করার প্রতিবাদে হামাসের ওই অপারেশন আল-আকসা তুফান অভিযানে ১১৪৭ ইসরায়েলি নিহত এবং ২৫০ জনকে জিম্মি হিসেবে আটক হয়।
[৫] এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। পরে এর সঙ্গে যোগ হয় স্থল হামলা।এসব হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১৯ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৫০ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন।
[৬] ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রোববার যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভার সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে নেতানিয়াহু জানান, হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত যুদ্ধ অব্যাহত রাখা হবে।
[৭] তিনি বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত আমরা লড়াই করব। আমরা আমাদের সব লক্ষ্য হামাসকে নির্মূল করা, সব জিম্মিকে মুক্ত করা এবং গাজা পুনরায় আর ‘সন্ত্রাসবাদের’ কেন্দ্রে পরিণত হবে না তা নিশ্চিত করা।’