প্রাকৃতিক দুর্যোগে বেড়ীবাঁধ বিলীন হয়ে যাওয়ায় কক্সবাজার সদর উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলীর উপকূলীয় এলাকায় জনজীবন কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। জোয়ার শুরু হলেই আতংক ছড়িয়ে পড়ে উপকূলীয় এলাকায়। জোয়ারের পানিতে প্রতিদিন প্লাবিত হচ্ছে বিভিন্ন এলাকা। রোয়ানুর প্রভাবে অধিক উচ্চতার জোয়ার ও প্রবল বর্ষণে গোমাতলীর বেড়ীবাঁধ বিলীন হয়ে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয় ।
গোমাতলী রাজঘাট পাড়ার মুক্তিযোদ্ধারা জানিয়েছেন, বেড়ীবাঁধ বিলীন হয়ে যাওয়ায় অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভেঙ্গে পড়েছে। প্রতি বছর বেড়ীবাধ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহন করা হলেও বাস্তবায়ন হচ্ছে না। স্থায়ী বেড়ীবাধ নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত গোমাতলী ঝুকিমুক্ত হবে না।
পোকখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মোজাহের আহমদ জানিয়েছেন, গোমাতলীর পশ্চিমাংশের বেড়ীবাধ বিলীন হয়ে গেছে। জোয়ারের পানিতে ফসলী জমি তলিয়ে যাওয়ায় অসহায় হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। আমরা আর প্রতিশ্রুতি চাই না, স্থায়ী বেড়ীবাধ নির্মিত না হলে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে উত্তেজনা দেখা দিতে পারে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে গোমাতলীর অধিকাংশ এলাকা বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে।
ইউনিয়নের জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, এভাবে অরক্ষিত অবস্থায় মানুষ বসবাস করতে পারে না। জোয়ার শুরু হলেই ঘর থেকে লোকজনকে সরে যেতে হয়। সর্বত্র লবণাক্ততা বিরাজ করায় কোন ফসলও চাষ করা যাচ্ছে না। জোয়ারের পানি ও ভারি বর্ষণের কারনে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভেঙ্গে পড়েছে। অবিলম্বে বেড়িবাধ নির্মাণ করা না হলে সমগ্র গোমাতলী পানিতে তলিয়ে যাবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী সবিবুর রহমান জানান, বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন। খুব দ্রুততার সাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সদর- রামু এমপি বলেন, পোকখালীর- গোমাতলীর বেড়িবাধ ও আনুসাঙ্গিক সকল সমস্যার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে অবহিত করা হয়েছে। অতি শীঘ্রই মন্ত্রণালয় স্থায়ী বেড়ীবাঁধ নির্মাণের ব্যাপারে কাজ শুরু করবে।
পাঠকের মতামত