জসিম উদ্দিন টিপু, টেকনাফ::
সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় কর্মরত বিতর্কিত আরএসও নেতা হাফেজ ছালাহুল ইসলামের অনুসারীরা এবার গা ঢাকা দিতে শুরু করেছে। জঙ্গি সংগঠনের অর্থায়ানে বিভিন্ন এলাকায় কর্মরত প্রতিনিধিগণ গা ঢাকা দিলেও উপজেলায় নেতৃত্বদানকারী হ্নীলা কেন্দ্রীক ছালাহুলের প্রতিনিধিরা কিন্তু এখনো প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে বলে নির্ভরযোগ্য সুত্র নিশ্চিত করেছে। এতে করে জনমনে চরম আতংক দেখা দিয়েছে বলে লোকজন সুত্র জানিয়েছে। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এইচ.কে.আনোয়ার সিআইপি অনেকটা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, হ্নীলাতে দীর্ঘ বছর ধরে উন্মুক্তভাবে জঙ্গি সংগঠনের কার্য্যক্রম চলছে। আশংকাজনক হারে এখনো প্রকাশ্যে জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা ঘুরাফেরা করছে। পানখালী ও সিকদারপাড়া এলাকায় তারা অনেকটা শিকড় গজিয়েছে। “বার্মাইয়্যা মৌলভী শমসু এবং হাফেজ খায়রুল আমিন” আরএসও নেতা হাফেজ ছালাহুলের প্রতিনিধি স্বীকার করে এই আওয়ামীলীগ নেতা আরো জানান, তাদের নেতৃত্বে সক্রিয় একটি সিন্ডিকেট এখান থেকে পুরো টেকনাফের কার্য্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তাদের গতিবিধি আশংকাজনক হওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান নিজেই প্রশাসনিক নজরদারীর উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তবে স্থানীয় লোকজন সুত্রে জানাগেছে, মৌলভী শমসু, হাফেজ খায়রুল আমিন, মৌলভী মোঃ হোছাইন, কামাল হোছন, মৌলভী আব্দুল হামিদ, মৌলভী হোছন সহ বেশ কয়েকজন ব্যাক্তি বিতর্কিত ঐএনজিও’র কার্য্যক্রম পরিচালনার সাথে সরাসরি জড়িত আছে। অনেকে ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় একার্য্যক্রমে অংশ নিচ্ছে বলে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা এপ্রতিবেদককে জানিয়েছেন। গত সপ্তাহে বাহারছড়ায় গোপন বৈঠককালে যৌথ অভিযানে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মৌলভী ছৈয়দ করিমের বাসা থেকে সৌদি নাগরিক, আরএসও’র শীর্ষ নেতা হাফেজ ছালাহুল ইসলাম, টাঙ্গাইলের মাওলানা মোঃ ইব্রাহীম সহ বাড়ী মালিককে আটক করা হয়। বিতর্কিত আরএসও নেতা হাফেজ ছালাহুল ইসলামকে প্রধান আসামী করে ধৃত ৩জন ও পলাতক ৮জন সহ মোট ১১জনের বিরুদ্ধে বিজিবি বাদী হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত ইতিমধ্যে আটক প্রত্যেকের ৭দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এরপর থেকে জঙ্গি সংগঠনের অর্থায়ানে কর্মরত হাফেজ ছালাহুলের প্রতিনিধিরা গ্রেপ্তার আতংকে দিনাতিপাত করছেন। অনেকে আবার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও উখিয়ার রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় আত্মগোপন করছে বলে বিশ্বস্থ সুত্র নিশ্চিত করে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাযায়, স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে মিয়ানমারের নাগরিক হাফেজ ছালাহুল ইসলাম বাংলাদেশে এসে হ্নীলা মাদরাসায় লেখাপড়া করে উচ্চ শিক্ষার জন্য সৌদি আরব গমন করেন। সেখান থেকে এসে পানখালী এলাকার জনৈক মৌলভী গোলাম মোস্তফার কাছ থেকে ক্রয়কৃত ৯০শতক জমির উপর বাড়ী নির্মাণ করে হ্নীলাতে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। এই সুবাধে পরবর্তী সময়ে রোহিঙ্গাদের সাহায্যের নাম দিয়ে বিদেশ থেকে অর্থ এনে সরকার দলীয় নেতা, স্থানীয় প্রভাবশালী এবং ছালাহুলরা নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে আসছে। সীমান্তে রোহিঙ্গা সমস্যা জিইয়ে রাখার পিছনে আরএসও নেতা ছালাহুল ইসলামের হাত রয়েছে বলে স্থানীয় লোকজন ও জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। তার ইন্ধনেই রোহিঙ্গারা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তাকেই সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমারের বিচ্ছন্নতাবাদী সংগঠনের কমান্ডার এবং রোহিঙ্গাদের ইন্ধনদাতা হিসেবে চিনে এবং জানে। ঈদুল আজাহাকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গাদের মাঝে বিলি বন্টনে জঙ্গি অর্থায়ানে সম্পৃক্ত ছালাহুলের লোকজন হ্নীলার মৌলভী শমুস, হাফেজ খায়রুল আমিন, তাদের প্রতিনিধি, রোহিঙ্গা নেতা মৌলভী ইয়াহিয়া, মৌলভী নুরুল হকের নেতৃত্বে নতুন ভাবে সংঘটিত হচ্ছে বলে দায়িত্বশীল একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছেন। আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী এবং স্থানীয় সচেতন মহল জরুরী ভিত্তিতে জঙ্গি অর্থায়ান বন্ধ করতে হলে ছালাহুলের প্রতিনিধিদের উপর নজরদারী বাড়ানোর জন্য সরকারের দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সাবেক সাংসদ ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী বলেন, এই কার্য্যক্রম আজ এবং কালকের না। এটাত তাদের দীর্ঘদিনের মিশন। আরএসও’র শীর্ষ নেতা ছালাহুলের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি বর্তমানেও হ্নীলা এলাকায় বসে টেকনাফকে নিয়ন্ত্রণ করছে। ছালাহুল রোহিঙ্গাদের নাম ভাঙ্গিয়ে বিদেশ থেকে অর্থ এনে সুবিধাভোগী কিছু নেতার যোগসাজশে সাহায্যের ঐটাকা লুটপাট করে খাচ্ছে। ছালাহুল এবং তার অনুসারীরা অনেক সময় ছদ্মবেশে সরকারী বিরোধী বিভিন্ন কার্য্যক্রমে অর্থ ব্যয় এবং স্বক্রিয়ভাবে অংশ নিয়ে থাকেন।
সড়ক দুর্ঘটনায় চিত্রনায়িকা পরীমণির প্রথম স্বামী ইসমাইল হোসেন জমাদ্দার (৪২) নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ...
পাঠকের মতামত