নিরাপত্তা সবার আগে। বর্তমানে পর্ন-দুনিয়াকে বিদায় জানিয়ে বলিউডে মূল ধারার সিনেমায় অভিনয় করে নায়িকা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন তিনি। কিন্তু এখনও তাকে নিয়ে আলোচনার আর শেষ নেই বলিউডে।
সানি লিওনকে প্রধান পরিচয় সেক্স সিম্বল হিসেবে। নানা ফিল্মে সহ-অভিনেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে হয় তাকে। কিন্তু তিনি পুরোদস্তুর পেশাদার অভিনেত্রী। ফলে নিজের শারীরিক নিরাপত্তার বিষয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চিৎ না হয়ে তিনি কোনও ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতেই রাজি নন। এবং সহ-অভিনেতাটি যতই স্বনামধন্য তারকা হোন না কেন, সানি নিজের এই অভ্যাস থেকে বিন্দুমাত্র সরতে প্রস্তুত নন।
সম্প্রতি একটি ইংরেজি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি খবরে সানির এই অভ্যাসের কথাই ফলাও করে আলোচিত হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ‘জিসম টু’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য সম্মতি জানানোর পরে প্রোডাকশন হাউজকে ইমেল মারফৎ সানি জানিয়েছিলেন, তিনি সহ-অভিনেতা রণদীপ হুডা এবং অরুণোদয় সিংহের ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট দেখতে চান। আসলে সিনেমায় রণদীপ ও অরুণোদয়ের সঙ্গে বেশ কয়েকটি ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয়ের কথা ছিল সানির। তার আগে সানি নিশ্চিৎ হয়ে নিতে চেয়েছিলেন যে, এই দুই বলিউড তারকা কোনওরকম যৌন রোগে আক্রান্ত নন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সেই রিপোর্ট সানিকে দেখানো হয়েছিল কি না, তা সিনেমার প্রোডাকশন হাউজের তরফে জানানো হয়নি।
আসলে পশ্চিমী পর্ন দুনিয়ায় এই নিয়ম চালু রয়েছে। সেখানে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করার আগে বাধ্যতামূলকভাবে প্রোডাকশন হাউজের কাছে দাখিল করেন ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট। অনেকেই বলছেন, সানি সেই পর্ন-জগতের অভ্যাসেই রণদীপ আর অরুণোদয়ের রক্তের রিপোর্ট চেয়ে বসেছিলেন। তবে তারা সানির এই পেশাদারি মনোভাবকে কুর্নিশ না করেও পারছেন না।-কালেরকন্ঠ