রাজধানীর মিরপুরে বিশেষ মেশিনের সাহায্যে ঘন্টায় ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উৎপাদনের লক্ষ্য ছিল মাদক ব্যবসায়ীদের। তবে উৎপাদন শুরুর আগেই তাদের গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য বিভাগ। মাদক ব্যবসায়ীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীতে ইয়াবা বিক্রির মাধ্যম ও এ ধরনের উৎপাদন কেন্দ্রের সন্ধানে নেমেছে পুলিশ।
মিরপুর ২ নম্বরে একটি বাড়িতে ইয়াবা উৎপাদনের চেষ্টা চলছে এই তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ। অভিযানে পাঁচ ব্যবসায়ীসহ ইয়াবা তৈরির সরঞ্জাম ও কেমিক্যাল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, জসিমউদ্দিন ওরফে শিমুল, সৈয়দ তরিকুল ইসলাম ওরফে সুমন, মো. আলী আকবর, জুবায়ের হোসেন জুয়েল ওরফে রাসেল ও মো. কির্তী আজাদ ওরফে টুটুল।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, ‘এ যাবতকালে সবচেয়ে বড় ইয়াবা তৈরির মেশিন উদ্ধার করা হয়েছে। যা ফুল সেটআপসহ রয়েছে। এর আগে এতো বড় মেশিন পাওয়া যায়নি।’
উদ্ধারকৃত মেশিন দিয়ে কী পরিমাণ ইয়াবা উৎপাদন সম্ভব এমন প্রশ্নে যুগ্ম কমিশনার বলেন, ‘ওদের লক্ষ্য ছিল ঘন্টায় ৫০ হাজার পিস উৎপাদন করা। তবে উৎপাদন শুরুর আগেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।’
মেশিন দেশের বাইরে থেকে আনা হয়নি বলেও জানান তিনি। আব্দুল বাতেন বলেন, এই মেশিনের প্রযুক্তি চীনের হলেও যা জোড়া দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশে।
তিনি বলেন, ‘গ্রেফতারকৃতরা আগে থেকেই ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল। কিন্তু দেশের বাইরে থেকে সীমান্ত পার করিয়ে দেশে এনে বিক্রির পরিবর্তে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করে সাপ্লাইয়ের পরিকল্পনা ছিল। উৎপাদনের পর এই ইয়াবা কাদের মাধ্যমে কোথায় কোথায় বিক্রি করার পরিকল্পনা ছিল সেগুলো জানার চেষ্টা চলছে।’
উল্লেখ্য, কারখানা থেকে একটি কমপ্রেশার, একটি মোটর, একটি মিক্সচার, একটি স্প্রে মেশিন, একটি পাইপ, একটি আউটলাইন মেশিন, একটি চৌঙাসহ ইয়াবা তৈরির বিভিন্ন যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ৫০০ পিস ইয়াবা, ৫০ গ্রাম এমফিটামিন, ২০০ গ্রাম কমলা রংয়ের, ১৮০ গ্রাম হলুদ রংয়ের, ৪০ গ্রাম সাদা রংয়ের, ৪০ গ্রাম সাদা রংয়ের দানা ও এক পাউন্ড সাদা পাউডার জাতীয় কেমিক্যাল উদ্ধার করা হয়।