ডেস্ক নিউজ::
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের কচুবনিয়া গ্রামে ফাঁসিতে ঝুলে এক যুবক নিহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকাল ৮ টার দিকে। সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের কচুবনিয়া গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে বাবুল আর ইব্রাহিম দীর্ঘ দিন ধরে পান ব্যবসা করে আসছিল। সেই পান ব্যবসার সূত্র ধরে বড় ভাই বাবুলের কাছ থেকে ছোট ভাই ইব্রাহিম ১০ হাজার টাকা পাবে বলে সূত্রে জানা যায়। সূত্রে আরো জানা যায়, গত সোমবার দুপুরে ইব্রাহিম তার বড় ভাই বাবুলের কাছ থেকে তার পাওনা ১০ হাজার টাকা চাইতে গেলে, বাবুল ছোট ভাই ইব্রাহিম কে বেদড়ক মারধর করে বলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। নিহতের পারিবারিক সূত্রে , ইব্রাহিম বড় ভাইয়ের অমানবিক অত্যাচার ও নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে ঈদের দিন ভোরে তার রুমের দরজা বন্ধ করে ঘরের তীরের সাথে রশি দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে নিহত হয়েছেন। ইব্রাহিমের পিতা গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমার ছেলেকে সকালে ঈদের নামাজে যাওয়ার জন্য ডাকতে গেলে ওই সময় সে তার ছেলে কে ঘরের তীরের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেছে বলে জানান তিনি। ওই সময় চিৎকার দিলে লোকজন এগিয়ে এসে পার্শ্ববর্তী ঘুমধুম ফাঁড়ির পুলিশ কে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ঝুলন্ত লাশটি উদ্ধার করে ফাড়িতে নিয়ে গেলেও রহস্য জনক কারনে লাশটির ময়নাতদন্ত না করে কিছু কথিত দালালদের জিম্মায় লাশটি দিয়ে দেয় বলে জানা যায়। পরে সন্ধায় নিহতের পারিবারিক কবরস্থানে লাশটি দাপন করতে গেলে মসজিদের মুসাল্লিরা লাশ দাপনে বাধা প্রদান করলে, পরে সন্ধা ৭ টার দিকে লাশটি পশ্চিম কুতুপালং জামে মসজিদ কবরস্থানে দাপন করতে গেলে ওই খানে লাশ দাপনে বাধার মূখে পড়ে। সর্ব শেষে রাত ৯ টা ২০ মিনিটের সময় ঝুলন্ত লাশটি উত্তর ঘুমধুম বড়বিল কবরস্থনে লাশটির দাপন সম্পূর্ণ হয় বলে জানা যায়। বর্তমানে উক্ত হত্যাকান্ডের ঘটনায় চলছে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড়। এ ব্যাপারে ঘুমধুম ফাঁড়ির সহকারী উপÑ পরিদর্শক মোবারক হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উপরের নির্দেশে লাশটির ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাদের পরিবারের নিকট লাশটি প্রেরণ করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত