নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু পশ্চিমকুল এলাকায় র্যাব ও বিজিবি'র সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ১৬ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে। এ সময় ৩ মাদক কারবারী গ্রেফতার হয়েছে।
রবিবার (২০অক্টোবর) রাত অনুমান সাড়ে ৮ টার দিকে র্যাব-১৫ এবং কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি'র যৌথ অভিযানিক দল ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু-পশ্চিমকুলস্থ জনৈক ভুলু সওদাগরের বাড়ি থেকে প্রায় দেড়শো গজ দূরত্বে পশ্চিম পাশে বালুখালী-কাস্টমস-তুমব্রু সড়কের উপর অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় রেজিস্ট্রেশন বিহীন একটি সিএনজি সন্দেহজনকভাবে চেকপোষ্ট অতিক্রম করার চেষ্টাকালে যৌথ বাহিনী কর্তৃক সিএনজি’টির গতিরোধসহ ৩জন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা তাদের হেফাজতে ইয়াবা ট্যাবলেট রয়েছে বলে স্বীকার করে।পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত মাদক কারবারীদের তল্লাশী করে ১৬ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার এবং মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত রেজিষ্টেশন বিহীন সিএনজি’টি জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীরা হলেন,
মোঃ শাহজাহান (৩৫),পিতা-মোঃ ফরিদ আলম, মাতা-মছুদা বেগম,মোঃ আনোয়ার ইসলাম (৩৭), পিতা-মোঃ আব্দুর রহিম, মাতা-ইসলাম খাতুন ও
মোঃ জসিম উদ্দিন (২২), পিতা-সৈয়দ হোসেন, মাতা-মৃত সাহারা খাতুন।তাদের সকলের বাড়ি বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের তুমব্রু পশ্চিমকুল এলাকায়
গ্রেফতারকৃতরা তাদের নাম-ঠিকানা প্রকাশসহ যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি বুঝতে পেরে তাদের অপর এক সহযোগী দ্রুত পালিয়ে যায় মর্মে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়।পালিয়ে যাওয়া যুবক বেলাল উদ্দিন একই এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে।
জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, পলাতকসহ গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীরা দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারী চক্রটি পরস্পর যোগসাজসে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে ইয়াবা সংগ্রহ করতো। তাদের এই মাদক কারবারের পরিবহনের জন্য সিএনজি সহ বিভিন্ন প্রকার যানবাহন ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক কারবারীদের নিকট অর্থের বিনিময়ে বিক্রয় করতো।
উদ্ধারকৃত আলামত, গ্রেফতারকৃত ও পলাতক মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করা হয়েছে ২১ অক্টোবর রাত ৮ টার দিকে র্যাব-১৫'র প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।