ডেস্ক রিপোর্ট ::
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন কৃষকলীগের বহিস্কৃত সাধারন সম্পাদকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত ও সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে বহিস্কৃত সাধারন সম্পাদক অাবছার কামালের বিরুদ্ধে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ ও চাদাবাজির অভিযোগে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় বর্তমান সভাপতি গোলাম সোবাহান সিকদার ইউনিয়ন কৃষকলীগের নেতাকর্মীদের সাথে বৈঠক করে সর্বসম্মতিক্রমে অাবছার কামালকে কৃষকলীগ থেকে অব্যহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।এতে অাবছার কামাল প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে সভাপতি গোলাম সোবাহান,সহ-সভাপতি বাবুল কান্তি চাকমা,যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হেমলাল বড়ুয়া,সাংগঠনিক সম্পাদক টিটু বড়ুয়া সহ দলের সিনিয়র নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে অালাদাভাবে অাওয়ামী অঙ্গ সংগঠন থেকে ঝরে পড়া ও বিএনপি ঘরনার মাত্র ৫জন কর্মী নিয়ে যথাক্রমে অাব্দু রশিদকে সভাপতি,অাবছার কামাল নিজে সাধারন সম্পাদক,নরেশ বড়ুয়াকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে নতুন কমিটি অনুমোদনের জন্য নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা কৃষকলীগ বরাবরে অাবেদন করে,কিন্তু উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি মোস্তফা কামাল(লালু) বিতর্কিত রশিদ কমিটির এই অাবেদন নাকচ করে দেয়,এবং সেই সাথে পুরাতন কমিটি থাকবে বলে জানান।তবুও অাবছার কামাল নতুন কমিটি অনুমোদন দিয়েছে এলাকায় মিথ্যা ও বানোয়াট খবর প্রচার করে।তার ভূয়া কমিটির প্রচারণায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।এ ব্যাপারে ঘুমধুম ইউনিয়ন কৃষকলীগের ওয়ার্ড কমিটির ৫নং ওয়ার্ডের সভাপতি ফারুক মুন্না,৬নং ওয়ার্ড সভাপতি প্রেমলাল,৭নং ওয়ার্ড সভাপতি শামশুল অালম,৮নং ওয়ার্ড সভাপতি বাবুল কান্তি চাকমা,৯নং ওয়ার্ড সভাপতি চিংচামং কারবারী বলেন গোলাম সোবাহান সিকদার দীর্ঘদিন যাবৎ সুনামের সহিত ঘুমধুম কৃষকলীগের ইউনিয়ন সভাপতির দায়িত্ব পালন করে অাসছেন।কিন্তু সম্প্রতি অতর্কিতভাবে রশিদকে সভাপতি করা হয়েছে মর্মে ভূয়া খবর প্রচার করায় অামরা হতাশায় ভূগছি।এই ব্যাপারে শিঘ্রই প্রতিবাদ সমাবেশের অায়োজন করা হবে বলে জানান।
ঘুমধুম ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক টিটু বড়ুয়া বলেন যদি ঘুমধুম ইউনিয়ন কৃষকলীগে নতুন কোন হাইব্রিটকে স্থান দেওয়া হয় তাহলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
ঘুমধুম ইউনিয়ন কৃষকলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হেমলাল বড়ুয়া বলেন-অাবছার কামাল যখন ইয়াবা নিয়ে গ্রেফতার হয়ে চট্রগ্রাম জেলহাজতে ছিল,তখন সভাপতি অামাকে ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব অর্পন করেন।কিন্তু সম্প্রতি অাবছার কামাল জেল থেকে বের হয়ে ঘুমধুম ইউনিয়ন কৃষকলীগের শৃংখলা ভঙ্গ ও চাদাবাজিঁতে লিপ্ত হয়,যা অাওয়ামী পরিবারের ভাব-মূর্তি ক্ষুন্ন হয়।ক্ষুব্দ কন্ঠে ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি গোলাম সোবাহান সিকদার বলেন-১৯৬৯ সাল থেকে বঙ্গবন্ধু মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের অার্দশে অনুপ্রাণিত হয়ে অাওয়ামী রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করে অাসছি।১৯৯২সাল থেকে টানা দুই-যুগ ধরে অাওয়ামী অঙ্গ-সংগঠন কৃষকলীগের বিভিন্ন পদে সর্বশেষ সভাপতির দায়িত্ব পালন করে অাসছি।সম্প্রতি বিতর্কিত অাবছার কামাল হাতেগোনা কিছু বিএনপি ঘরনার কর্মি নিয়ে অামার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।এ ব্যাপারে অামি জেলা ও উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতিকে অবহিত করেছি।নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মোস্তফা কামাল(লালু)প্রতিবেদকে বলেন-অামি ঘুমধুম ইউনিয়ন কৃষকলীগে নতুন কোন কমিটি দিনাই।পুরাতন কমিটি বলবৎ থাকবে, যদি নতুন কোন কমিটি কৃষকলীগ পদবী ব্যাবহার করে তাহলে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।