ঘুমধুম (নাইক্ষ্যংছড়ি) প্রতিনিধি ::
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে দলের নাম ব্যবহার করে ব্যাপক চাদাঁবাজি ও নারী কেলেংকারীর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে ঘুমধুম ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি গোলাম ছোবাহান সিকদার প্রতিবেদককে জানান দলীয় কর্মসূচি, জাতীয় দিবস, ইফতার মাহফিল, ঈদ পূর্ণমিলনী সহ বিভিন্ন অনুষ্টানে দলের আদেশ অমান্য করে চিঠি চাপিয়ে আমার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে আওয়ামী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবিন্দ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সরকারী চাকরিজীবীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করত। এ ব্যাপারে আবছার কামালকে অনেকবার সতর্ক করলেও আমার কথা কর্ণপাত করেনি। ৯নং ওয়ার্ড কৃষকলীগেরর সভাপতি চিমচামং কারবারী বলেন, আবছার কামাল বিভিন্ন সময় আমার কাছ থেকেও চাদাঁ দাবী করত। উল্লেখ্য, গত তিন বছর পূর্বে তুমব্র“ ক্যাম্প পাড়া গ্রামের মোজাফ্ফর অষ্টম শ্রেনী পড়ুয়া নাবালিকা মেয়েকে অপহরন করে বিয়ে করেন। এর আগেও আবছার কামালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নারী কেলেংকারীর অভিযোগ রয়েছে।
সর্বশেষ ৭ মাস পূর্বে ৭ হাজার পিস ইয়াবাসহ চট্টগ্রাম কোতোয়ালী থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে ৪ মাস পরে সাজা ভোগ করে জামিনে আসে। দলের আরো অন্যান্য নেতাকর্মীদের অভিযোগের ভিত্তিতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মোস্তফা কামাল (লালুর) সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আবছার কামালের চাদাবাজির কথা আমাকে মৌখিক ভাবে অনেকে অভিযোগ করেছিল, তবে কেউ লিখিত অভিযোগ করলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আবছার কামালের সাথে অনেকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে ঘুমধুম ইউনিয়ন কৃষকলীগের নেতাকর্মীরা বলেন আবছার কামালের কারনে আওয়ামীলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। তাই তাকে কৃষকলীগ থেকে অবহ্যতি দেওয়ার জন্য জরুরী সভা আহবান করা হবে।
পাঠকের মতামত