অাজিজুল হক::
ঝর্ণা বা জলপ্রপাত কার না ভালো লাগে। পাহাড়ঘেরা ঝর্ণারাজিতে মন ছুঁয়ে যায় হিমশীতলতায়। এমনি একটি পর্যটন স্পট অপরুপ সুন্দর্য্যে ভরপুর বরইতলী ঝর্ণা।
পার্বত্য বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বরইতলী গ্রামের ৫-৬ কিলোমিটার ভিতরে তিনটি প্রকৃতিক ঝর্ণার সন্ধান মিলেছে। সেই ঝর্ণার সুন্দর দৃশ্য না দেখলে বুঝা যাবেনা প্রকৃতির অপরুপ লীলাভুমি এত মনোমুগ্ধকর। প্রতি বছর সরকারি ছুটি দিনে শত শত পর্যটকের আগমন ঘটে এখানে যা চোখে পড়ার মতো।
কিভাবে যাবেন :
উখিয়ার মরিচ্যা স্টেশন থেকে পূর্বদিকে মরিচ্যা- পাতাবাড়ি - বরইতলী আঁকাবাঁকা রাস্তা দিয়ে সিএনজি /টমটম ( ব্যাটারি চালিত গাড়ি) বরইতলী নামক স্থানে নামবেন। স্টেশনের দক্ষিণ দিকের রাস্তায় হাঁটা শুরু করবেন। ১০ মিনিট হাঁটার পর একটা ব্রিজ পার হয়ে তার পূর্বদিকের বৌদ্ধমন্দির, ভাবনাকেন্দ্র বিহারের পাশ দিয়ে লেবু বাগানের দিকে হাঁটা শুরু করবেন। এরপর দেখতে পাবেন ঝিরিপথ। ঝিরিপথ বেয়ে সাবধানতায় হাঁটা শুরু করবেন। ২-৩ ঘন্টা হাঁটার ( ঝিরিপথের পানির উপর নির্ভর) পর দুটি পৃথক স্থানে ও তিনটি একই স্থানে দেখবেন। আহা, কী চমৎকার দেখে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। সৃষ্টিকর্তার অপরূপ সৃষ্টি।
কি নিয়ে যাবেন :
একজন সাথে ট্যুর গাইড হিসেবে স্থানীয় নিয়ে গেলে ভালো হয়। প্রয়োজনীয় ও চাহিদামত খাবার, পানি, লাঠি, ছুরি, কাপড়, জুতো ইত্যাদি।
সতর্কতা :
বর্ষাকালেই ঝর্ণার প্রাণ ফিরে পায়। তাই বর্ষাকালেই ঝর্ণা দর্শন ভালো দিক তবে পাহাড়ধ্বসের সতর্কতা বজায় রাখতে হবে। ভারী বর্ষণ হলে ঝিরিপথের পানির স্রোত বেশি থাকে, এতে করে যাওয়াটা অসম্ভব ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়।
কৃতজ্ঞতায় : জিসানুল হক,বিপন তংচংগ্যা,অালমগীর খান।