‘হামুন’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছিল। ‘হামুন’ উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ‘হামুন’ আজ সকাল ছয়টায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। মোংলা বন্দর থেকে অবস্থান করছিল ৩৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। পায়রা বন্দর থেকে ৩৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। আর কক্সবাজার থেকে ৪৫৫ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে।
ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার। যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
দেশের তিন বন্দর ও কক্সবাজার উপকূলকে ৬ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
উত্তর বঙ্গোপসাগরসহ গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা-ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে