প্রকাশিত: ২৪/০৮/২০১৬ ৯:৪৫ পিএম

শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার::
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বদলখালী ইউনিয়নের মাতারবাড়িপাড়া এলাকায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যাওয়া মোঃ রফিক উদ্দিনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্তের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসি। গত ১৮ আগস্ট পরিবারের সদস্যরা ও আত্মীয় স্বজন ময়না তদন্ত ছাড়াই রফিকের মরদেহ দাফন কার্যসম্পাদন করে। তাকে হত্যা করা হয়েছে গুজব নিয়ে নিরীহ লোকজনকে মারধর ও পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় দরখালী নৌ-পুলিশের দু’কর্মকর্তাসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হন। এব্যাপারে পৃথক দুটি মামলাও দায়ের করা হয় থানায়।

এলাকাবাসি ও বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, বদলখালী ইউনিয়নের মাতারবাড়িপাড়া এলাকায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ১৭ আগস্ট রাত ৩টার সময় বদরখালী ৩নং ব্লকের মৎস্য প্রকল্পের অফিস গৃহে মারা যান। রাত সাড়ে ৪টার দিকে ভাই ওয়াইজ উদ্দিন মাষ্টার সহ আত্মীয় স্বজন রফিকের মরদেহ উদ্ধার করে প্রথমে চকরিয়া জমজম হাসপাতাল ও পরে চকরিয়া সরকারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এলাকাবাসি আরো জানায়, পরদিন ১৮ আগস্ট মোঃ রফিকের মৃত দেহ স্থানীয় কবর স্থানে দাফন করা হয়।

এদিকে, মৎস্য ব্যবসায়ি রফিককে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে ১৯ আগস্ট এলাকায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে। গুজব নিয়ে স্থানীয় লোকজন বদরখালী বাজার থেকে বড়মাট চিংড়ি ঘেরে যাওয়ার পথে রফিকের সাথে ব্যবসায়িক বিরোধের জের ধরে আবদুল আজিজ ও আজ বাহার নামের মহিলাকে আটক করে গনপিটুনি দেয়। স্থানীয় মোস্তাকের পালিত ৩০/৪০ জন দৃর্বৃত্তরা প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা পর্যন্ত তাদের বেদম নির্যাতন চালিয়ে রফিকের বাড়িতে নিয়ে আসে। এসময় আবদুল আজিজের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা ছিনিয়েও নেয়া হয়।

ঘটনার খবর পেয়ে বদরখালী নৌ-পুলিশ টীম তাদের উদ্ধার করে। পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে পুলিশ হেফাজত থেকেও তাদের ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এতে পুলিশ ও গ্রামবাসির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বদরখালী নৌ-পুলিশের দু’কর্মকর্তাসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হন। এঘটনায় চকরিয়া থানার এসআই বাদী হয়ে ৪’শ জনের বিরুদ্ধে (চকরিয়া থানার মামলা নং-২৮. জিআর-৩২০) মামলা দায়ের করে। এছাড়ও রফিককে দাফনের পর ৩দিন পর তার ভাই এম.ওয়াজ উদ্দিন মাষ্টার বাদী হয়ে (চকরিয়া থানার মামলা নং-২৯, জিআর-৩২১) দায়ের করে। এ মামলায় আবদুল আজিজকে আটক করে পুলিশ। বর্তমানে আহত আবদুল আজিজ কারাগারে রয়েছে।

এলাকাবাসি জানিয়েছেন, মৎস্য ব্যবসায়ি মোঃ রফিকের স্বাভাবিক মৃত্যুর ( হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে) পরও নিরীহ লোকজনকে হয়রানী করার জন্য মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত ও মোঃ রফিকের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্ত করা হলে হত্যার আস রহস্য উদঘাটন হবে।

পাঠকের মতামত

প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপনকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনী

ঢাকা, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রামুসহ সারা দেশে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা শান্তিপূর্ণভাবে যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘর্ষ, বাংলাদেশিসহ গুলিবিদ্ধ ৫

কক্সবাজারের উখিয়ার জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক বাংলাদেশিসহ পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।ক্যাম্প অভ্যন্তরের থাকা ...