স্ত্রী হিসেবে শান্ত ও ঘরোয়া নারীদের পছন্দ করেন বেশির ভাগ পুরুষ।তারা ভাবেন,এতে সংসার সুখের হবে। কিন্তু জানেন কি, মনোবিদরা বলছেন এর উল্টোটা। তাদের মতে, যাদের দেখে খানিকটা ‘পাগলি’ বলে মনে হয়, আসলে তারাই স্ত্রী হিসেবে সব থেকে ভালো হন।
আবার অনেকটা চঞ্চল স্বভাবের নারী, যাদের কাণ্ডকারখানা আর পাঁচজনের চেয়ে খানিকটা আলাদা। তারাও ভালো স্ত্রী হয়। এর পেছনে যথার্থ কারণ ব্যাখ্যা করেছেন মনোবিদরা। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই কারণগুলো-
নির্ভেজাল মানুষ
তারা যেমন, তেমনটাই সবার সামনে থাকেন। কোনো অভিনয় করেন না। তাকে একবার দেখেই বুঝবেন এর দোষ-গুণ কী কী রয়েছে। এরা নিজেদের দোষ ঢাকতে মিথ্যার আশ্রয় নেন না। মানুষ হিসেবেও খুব সৎ হন।
অসাধারণ প্রেমিকা
আদর্শ প্রেমিকা বলতে যা বোঝায় এরা তাই। ভালোবাসার জন্য আলাদা কোনো দিনের প্রয়োজন হয় না। সঙ্গে থাকলে যেকোনো দিনই অন্যরকম ভালোলাগা এনে দেয়। বিয়ের পরে অনেকের ক্ষেত্রেই প্রেম-জীবন পানসে মনে হয়। কিন্তু এদের ক্ষেত্রে কথাটি একেবারে খাটে না।
সৃজনশীল
আসলে সৃজনশীল মস্তিষ্কের জন্যই তারা আর পাঁচজনের থেকে আলাদা হন। এদের জীবন খুব সৃজনশীল প্রকৃতির হয়ে থাকেন। আউট অফ দ্য বক্স ভাবতে এদের জুড়ি মেলা ভার।
ন্যাকামি পছন্দ নয়
বাইরে হোক বা ঘরোয়া পার্টি, এরা নারী হিসেবে কখনো আলাদা সুবিধা দাবি করেন না। যেখানে যেমন, সেখানে তেমনভাবেই থাকতে পছন্দ করেন। তাই ঘুরতে বেরিয়ে বা ট্যুরে গিয়ে কখনো এদের নিয়ে সমস্যায় পড়বেন না।
সবসময় আপনাকে আগলে রাখবেন
এদের সামনে যদি স্বামী বা কোনো প্রিয়জনকে কেউ অপমান করেন, তবে আর রক্ষে নেই। যতক্ষণ না অপমানকারীকে মাথা নত করাচ্ছেন, ততক্ষণ ক্ষ্যান্ত হন না।
এনার্জিতে ভরপুর
এরা খুব অনুপ্রেরণাদায়ক প্রকৃতির হয়। শুধু নিজেরাই নন, এদের সঙ্গে যারা থাকেন তারাও সান্নিধ্যের গুণে অনুপ্রাণিত হয়ে উঠবেন।
হারতে জানেন না
এদের মনের জোর এতটাই বেশি হয় যে তারা হার মানতে জানেন না। অনেকেই যে পরিস্থিতিতে হাল ছেড়ে দেয়, সেখানে তারা সে পরিস্থিতিতে লড়াই চালিয়ে যান। যতক্ষণ না জিতে যাচ্ছেন। নিঃসন্দেহে বলা যায়, এ রকম জীবনসঙ্গিনী পাওয়া ভাগ্যের বিষয়।