নিউজ ডেস্ক::
চট্টগ্রামে পুলিশের এক সহকারী উপ পরিদর্শকের (এএসআই) বিরুদ্ধে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।গতকাল বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রী বাদী হয়ে নারী ও শিশু দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক রোখসানা বেগমের আদালতে এএসআই হামিদুল ইসলামের (৩৬) বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযুক্ত হামিদুল ইসলাম গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগর পুলিশের বিশেষ শাখায় কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি সিএমপি’র ডিবিতে কাজ করেছেন। বর্তমানে রংপুর রেঞ্জে কর্মরত রয়েছেন। বাদী চট্টগ্রাম কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
মামলার আরজিতে বাদী উল্লেখ করেছেন, ২০১৫ সালের অক্টোবরে বাদীর মোবাইল হারিয়ে গেলে পাঁচলাইশ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর থানা থেকে তাকে ডিবি কার্যালয়ে পাঠানো হয়। বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব পান ডিবির এএসআই হামিদুল ইসলাম।
তিনি মোবাইল উদ্ধারের বিষয়ে কথা বলার জন্য বিভিন্ন অজুহাতে ওই ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে যান। তার সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলেন। পরে নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখান হামিদুল ইসলাম।
২০১৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে নগরের বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে যান। সেখানে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। সর্বশেষ গত ফেব্রুয়ারিতে ওই ছাত্রীর ইচ্ছের বিরুদ্ধে চকবাজারের একটি হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করেন। দুই বছরে দুই দফা গর্ভপাতও করান হামিদ।
গত ২৬শে ফেব্রুয়ারি ওই ছাত্রী হামিদের কর্মস্থল সিটিএসবি অফিসে গিয়ে বিয়ের জন্য চাপ দিলে হামিদ তা প্রত্যাখ্যান করে ওই ছাত্রীর হাতে বিষের বোতল তুলে দিয়ে আত্মহত্যা করতে প্ররোচনা দেন।
ওই ছাত্রী সেখানেই বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে আসামি হামিদ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সুস্থ হয়ে মামলা দায়েরের চেষ্টা করলেও মামলা নেয়নি থানা পুলিশ। উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেও কোন সুরাহা মেলেনি।
বাদীর আইনজীবী মুহাম্মদ আবদুল হামিদ বলেন, বাদীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ফুসলিয়ে ধর্ষণ করেন পুলিশের এএসআই হামিদুল ইসলাম। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেও কোন সুরাহা মেলেনি। তাই বাদী আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। আদালত বাদীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন।
পাঠকের মতামত