চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্ণফুলী ও চান্দগাঁও এলাকায় পৃথক চার অভিযানে ছয় হাজার ৭৭০ পিচ ইয়াবাসহ পাঁচ মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। ২০ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে এ অভিযান চালানো হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পের উলা মিয়ার ছেলে আয়াত উল্লাহ (১৯), একই ক্যাম্পের মো. হামিদের ছেলে মো. ওসমান (১৮), মৃত নাছির আহাম্মদের ছেলে হাচন আহাম্মদ (২৩), উখিয়া জালিয়াপালং পাইন্যাশিয়া গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদ সিকান্দর আলী (২৮) এবং গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া থানার চিথলিয়া গ্রামের মৃত মো. আকমান সিকদারের ছেলে মো. আবদুল্লাহ সিকদার (২২)।
বুধবার সকালে তাদের বিরুদ্ধে কর্ণফুলী ও চান্দগাঁও থানায় পৃথক চারটি মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের সহকারী পরিচালক সোমেন মন্ডল।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ভোর ৫টার দিকে শাহ আমানত সেতুর টোলপ্লাজার পাশ থেকে সেন্টমার্টিন ট্রাভেলস এম আর নামের বাসে অভিযান চালিয়ে আয়াত উল্লাহ ও মো. ওসমানকে ৩৭শ পিচ ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে উপ-পরিদর্শক মোস্তফা সিদার ইমান বাদী হয়ে কর্ণফুলী থানায় মামলা দায়ের করেন।
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে একই এলাকায় সেন্টমার্টিন দ্বীপ নামের একটি বাসে অভিযান চালিয়ে ৯২০ পিচ ইয়াবাসহ হাচন আহাম্মদকে গ্রেফতার করা হয়। পরে কোতোয়ালী সার্কেলের এএসআই সামশুদ্দিন বাদী হয়ে কর্ণফুলী থানায় মামলা দায়ের করেন।
একইভাবে রাত আড়াইটার দিকে একই স্থানে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে অভিযান চালিয়ে ১ হাজার পিচ ইয়াবাসহ মোহাম্মদ সিকান্দর আলী গ্রেফতার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের একটি টিম। তার বিরুদ্ধে বন্দর সার্কেলের এএসআই মোহাম্মদ কামাল হোসেন বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে কর্ণফুলী থানায় মামলা দায়ের করে।
অন্যদিকে রাত সাড়ে ৩টার দিকে চান্দগাঁও থানার এক কিলোমিটার যমুনা স্কয়ার কমিউনিটি সেন্টারের সামনে থেকে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে অভিযান চালিয়ে মো. আবদুল্লাহ সিকদারকে ১১৫০ পিচ ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে চান্দগাঁও সার্কেলের এএসআই মোহাম্মদ আবু সাঈদ ভূঁঞা বাদী হয়ে চান্দগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন