প্রকাশিত: ৩০/০৫/২০১৭ ৯:২৫ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৫:২২ পিএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ মঙ্গলবার সকালে আঘাত হানতে পারে-এমন আশঙ্কা করা হলেও নগরীর উপকূলীয় এলাকা পতেঙ্গার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সোমবার রাত আটটার পর থেকেই দলে দলে মানুষ ছুটছেন আশ্রয়কেন্দ্রের পথে।

পতেঙ্গার বিমানবন্দর স্কুল আশ্রয়কেন্দ্রে দেখা গেছে অর্ধশতাধিক মানুষ ইতিমধ্যে অবস্থান নিয়েছেন। এছাড়া আরও অনেক মানুষকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সহ বিভিন্ন গাড়িতে করে ও হেঁটে এ আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছুটতে দেখা গেছে। তবে সবচেয়ে বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে মেরিন ফিশারিজ সার্ভিল্যান্স চেক পোস্ট কর্তৃপক্ষের খুলে দেওয়া তিনটি ভবনে। সেখানে কয়েকশ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

রাত আটটা থেকেই ভ্যান, রিকশা ও টেম্পুতে করে মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে থাকে। প্রায় সবাই খাবার, কাপড়-চোপড়সহ দরকারি জিনিসপত্র সঙ্গে নিয়ে এসেছেন। দুটি আশ্রয়কেন্দ্রে তারা আসন পেতে শুয়ে-বসে অাশ্রয় নিয়েছেন।

মেরিন ফিশারিজ সার্ভিল্যান্স চেকপোস্ট আশ্রয়কেন্দ্রে কথা হয় সত্তরোর্ধ্ব মাহমুদুল হকের সঙ্গে। তিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘৬০ সালের তুফানে সমুদ্রের গর্জন বেশি থাকলেও তেমন বেশি ক্ষতি হয়নি। সেই হিসেবে ১৯৯১ সালেও ভেবেছিলাম বড় কিছু হবে না। তাই আমরা উপকূলের মানুষ প্রথমেই আশ্রয়কেন্দ্রে যাইনি।কিন্তু এটাই ছিল স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্যোগ। নিজে বেঁচে গেলেও অনেক আত্মীয়স্বজন হারিয়েছি। এরপর থেকে ঘূর্ণিঝড় আসছে-শুনলেই আশ্রয়কেন্দ্রের পথ ধরি।’

শেষের দিকে হাসতে হাসতে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় মাহমুদুল বলেন, ‘৯১ ডর(ভয়) ঢুকাই দিছে মনে। হেই ডরে আগেভাগে আই পজ্যি।’

ছেমন আরার কণ্ঠেও একই কথা। তিনিও বলেন, ‘৯১ সালে আশ্রয়কেন্দ্রে জোর করেও আমাদের আনতে পারেনি প্রশাসনের লোকজন। কিন্তু যখন ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানল তখন বুঝলাম, আমরা কত বড় ভুল করেছি। ভাগ্যগুণে বেঁচে গেছি। নিজের চোখের সামনেই অনেক আত্মীয়স্বজনের লাশ দেখেছি। সেই থেকে সতর্ক হয়ে গেছি।’ বাংলানিউজ

পাঠকের মতামত

ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যু । অভয়ারণ্যে ট্রেনের গতি ২০ কিমি রাখার নির্দেশ কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনের লোকোমাস্টার বরখাস্ত

কক্সবাজার রেলপথে চুনতি অভয়ারণ্য এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যুর ঘটনায় কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনের লোকোমাস্টার জামাল ...