উখিয়া নিউজ ডটকম
প্রকাশিত: ০৬/০২/২০২৫ ৮:৫৮ পিএম

ইমরান আল মাহমুদ:
জন্মগত প্রতিবন্ধী শফিকুল ইসলাম। বয়স ৩৫ ছুঁই ছুঁই। স্বাভাবিক মানুষের মতো শফিকুলের জীবনযাপন সহজ নয়। জন্মের পর থেকে বেড়ে উঠা সংগ্রামী জীবনকথা নিয়ে প্রতিবেদকের মুখোমুখি হয়েছেন জীবনযুদ্ধে হার না মানা প্রতিবন্ধী শফিকুল। জানিয়েছেন সেই করুণ কাহিনী। প্রায় চারশো কিলোমিটার দূরের জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিজের পরিবারের অসহায়ত্ব ও দরিদ্রতার কারণে বিয়ের পর থেকেই চালিয়ে যেতে হচ্ছে সংসারের ভরণপোষণ। স্ত্রী ও এক মেয়ে সহ তিনজনের সংসারের ভরণপোষণের জন্য ভিক্ষাবৃত্তি না করে বেঁছে নিয়েছেন ব্যবসাকে। চারবছর আগে উখিয়া এসে প্রথম ১বছর কুতুপালং সড়কের ধারে ফাস্টফুড(চিংড়ি মাছের পিয়াজু, সিদ্ধ ডিম, ডিমের চপ) বিক্রি করে সংসার চালাতেন। পরে গত তিনবছর যাবত কোর্টবাজার স্টেশনের চৌরাস্তার মোড়ে চার চাকার ভ্যান নিয়ে সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ফাস্টফুড বিক্রি করে দৈনিক আয় করেন দুই থেকে তিন হাজার টাকা। বিক্রি থেকে প্রাপ্ত অর্থের মধ্যে ছয় থেকে সাতশো টাকা পর্যন্ত লভ্যাংশ পান বলে জানা যায়। প্রতিবন্ধী শফিকুল নিজের সংগ্রামী জীবনের গল্প শোনাতে গিয়ে বলেন,”আমি তিনবছর যাবত কোর্টবাজার স্টেশনে সড়কের ধারে ফাস্টফুড বিক্রি করে কোনোমতে সংসার চালাচ্ছি। ২/৩ হাজার টাকা যা বিক্রি হয় তা দিয়ে মাসিক বাসা ভাড়া ও একমাত্র মেয়ের পড়ালেখার খরচ চালায়। আমার মতো যারা প্রতিবন্ধী আছেন মোটামুটি হাঁটাচলা করতে পারছেন তাদের বলবো, আপনারা ভিক্ষাবৃত্তির চেয়ে ব্যবসা করেন। তাতে আল্লাহ খুশি হন।” ব্যবসার শুরুর গল্প জানতে চাইলে শফিকুল বলেন,” আমি প্রথমে ২০হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ব্যবসার দিকে মনোযোগী হয়েছি। যে ভ্যান দেখতেছেন সেটি এক হৃদয়বান ব্যক্তির দান করা।”বিষয়টিকে পথচারীরা ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে শফিকুলের প্রশংসা করেন। গণমাধ্যমকর্মী আব্দুল্লাহ আল আজিজ বলেন,” শফিকুল প্রতিবন্ধী হয়েও জীবনযুদ্ধে হার মানেনি। সে কারো কাছে হাত না পেতে ব্যবসাকে বেঁছে নিয়েছে। তার এ মহৎ কাজে আমাদের সকলের উচিত তাকে সহযোগিতা করা।”

পাঠকের মতামত

ফের সক্রিয় হতে উখিয়ায় আ.লীগের তৎপরতা রাতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের লেখা ‘জয় বাংলা’ দিনে মুছে দিল উখিয়া ছাত্রদল

উখিয়ায় ক্ষমতাচ্যুত রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও তাদের নিষিদ্ধ অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড উপজেলায় চাঞ্চল্যের জন্ম ...