[caption id="attachment_116267" align="alignleft" width="1024"]
ফাইল ফুটেজ রয়টার্স[/caption]অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী দেশটির স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর অন্তত ২৫২টি হামলা চালিয়েছে
গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী দেশটির স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর অন্তত ২৫২টি হামলা চালিয়েছে। এতে কমপক্ষে ২৫ জন চিকিৎসক প্রাণ হারান বলে মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) জানিয়েছে কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা।
ইনসিকিউরিটি ইনসাইট, ফিজিশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস (পিএইচআর) এবং জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর পাবলিক হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (সিপিএইচএইচআর) এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, হাসপাতালগুলোতে ৮৬ টি অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত ১৯০ জনেরও বেশি স্বাস্থ্যকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যার ফলে হুমকির মুখে পড়েছে দেশটির করোনাভাইরাস পরিস্থিতি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এমন ১৫টি ঘটনার কথা বিশেষভাবে বলা হয়েছে সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনে, যেখানে কোভিড-১৯ এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা এবং সেনাবাহিনীর একচেটিয়া ব্যবহারের জন্য অক্সিজেন সরবরাহ করা উল্লেখযোগ্য। এমনকি অনেক জায়গাতেই কোভিড কেয়ার সেন্টারও জোরপূর্বক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে মিয়ানমারের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা অনেকাংশেই ভেঙে পড়েছিল। অনেক স্বাস্থ্যকর্মী জান্তা শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল।
এদিকে, সামরিক বাহিনী করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য চিকিৎসকদের কাজে ফিরে আসার আবেদন জানিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, প্রায় ৫ কোটি ৪০ লাখ মানুষের দেশটিতে মারাত্মক আঘাত হানতে পারে করোনাভাইরাস মহামারি।
দেশটির সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, গত সপ্তাহে মিয়ানমারে কোভিডে গড়ে প্রতিদিন ৩০০ লোক মারা গেছেন। চিকিৎসকদের ধারণা নমুনা পরীক্ষা বাড়ালে এই সংখ্যা আরও বাড়বে।
জান্তা নেতা মিন অং হ্লাং-এর বরাত দিয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদমাধ্যম “গ্লোবাল নিউ লাইট” জানিয়েছে, কর্মকর্তা এবং জনসাধারণের প্রচেষ্টার কারণে এই করোনাভাইরাস কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে।