[caption id="attachment_4610" align="alignleft" width="548"] ফাইল ফটো[/caption]
উখিয়া নিউজ ডেস্ক: :
গুলশান অ্যাটাকের পর ১৬ জেলাকে নিয়ে চিন্তায় পড়েছে সরকার। কারণ এসব জেলায়ই ঘুরেফিরে হিন্দু ধর্মের পুরোহিত ও সেবায়েত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। পাশাপাশি মুক্তমনা বিভিন্ন পেশার মানুষকে হত্যার ঘটনাও ঘটছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারের উচ্চ পর্যায় মনে করছে পঞ্চগড়, দিনাজপুর, নীলফামারী, রংপুর, গাইবান্ধা, জয়পুরহাট, নাটোর, রাজশাহী, চাঁপাই নবাবগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ এবং চট্টগ্রাম জেলায় জঙ্গিরা বেশি সংগঠিত হতে পারে।
এ কারণে এসব জেলায় গুপ্তহত্যা বা জঙ্গি আক্রমণের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়তে পারে। বেশির ভাগ তৎপরতা জেএমবি কর্তৃক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এসব জেলায়ই গুপ্তহত্যা ও বিভিন্ন সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলার পাশাপাশি জঙ্গি অর্থায়নের জন্য তথাকথিত শরিয়া অভিযানের নামে বিভিন্ন আর্থিক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের অর্থ ডাকাতি, দস্যুতা ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধসহ বিভিন্ন ধর্মীয় সংখ্যালঘু ধর্মের উপসনালয়, ধর্মযাজক এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগণকে দেখভালের জন্য জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগকে দায়িত্ব দেয়ার চিন্তাভাবনা চলছে।
পাশাপাশি কাদিয়ানি ও আহমদিয়া সম্প্রদায়ের অনুসারী এবং তাদের মসজিদ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং তাদের পরিবার, বিভিন্ন জঙ্গি সংক্রান্ত মামলার বিচারক এবং তাদের পরিবার, বিভিন্ন জঙ্গি সংক্রান্ত মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষের আইনজীবী এবং তাদের পরিবার, ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষাদানকারী প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন এনজিও কর্মী, বিভিন্ন বিতর্কিত পীর ও মাজারগুলো, নাট্যকর্মী এবং মুক্তমনা বুদ্ধিজীবীরা এবং বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদক ও কলামিস্টদের কিভাবে আরো ভালোভাবে নিরাপত্তা দেয়া যায় ওই বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। পাশাপাশি সরকারের তরফ থেকে রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের জেএমবি অধ্যুষিত এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনার চিন্তাভাবনা চলছে।
এছাড়া মোটরসাইকেল চেকিং- এর ক্ষেত্রে জেলা শহরগুলোতে কড়াকড়িভাবে পালন করা হবে। পাশাপাশি ধর্মীয় সংখ্যালঘু বেশি রয়েছে এমন এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হবে। একই সঙ্গে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সংগঠনগুলোকে সক্রিয় করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। মানব জমিন