সাবেক বিএনপি নেতা ও রত্নাপালং ইউনিয়নের ৭ বারের সাবেক ইউপি সদস্য মীর আহমেদ চৌধুরী মৃত্যুবরণ করেছেন।
ইন্না-লিল্লাহহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজীওন।
বুধবার (৯ অক্টোবর) রাত ১টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মীর আহমেদ চৌধুরী বেশ কয়েক বছর ধরে স্ট্রোক জনিত রোগে ভুগছিলেন এবং বাকশক্তি হারিয়েছিলেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। পরিবারে তার স্ত্রী, চার ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।
মীর আহমেদ চৌধুরীর মেজ ছেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম রাজন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
মৃত্যুর আগে তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া ও ক্ষমা চেয়ে বিগত জীবনের মানবসেবার বর্ননা দিয়ে একটি চিরকুট লিখে যান।
মীর আহমেদ চৌধুরীর চিরকুটে লিখেন, বিগত এক বছরের বেশি সময় ধরে আমি অসুস্থ হয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় জীবনযাপন করে আসতেছি। মানব সেবক হিসেবে নিজেকে উৎসর্গ করে আসলাম।
মানুষ সেবায় নিয়োজিত হতে আমি প্রথম নির্বাচন করি ২৯ ডিসেম্বর ১৯৮২ সালে। আল্লাহ অশেষ রহমতে প্রথম নির্বাচনে বিজয় লাভ করি আলহামদুলিল্লাহ।
১৯৮২ সাল থেকে শুরু করে ২২ জানুয়ারি ২০২২ সাল পর্যন্ত আমি মেম্বারের দায়িত্ব পালন করে এসেছি। উখিয়া উপজেলার প্রবীণ রাজনীতিবিদ জনাব মরহুম শমশের আলম চৌধুরীর রাজনৈতিক আমলে সৌভাগ্যক্রমে আমি এই মহান মানুষের সাথে টানা ২ বার নিজেকে মানব সেবক হিসেবে নিয়োজিত করতে পেরেছি এবং জনাব মরহুম হাশেম চৌধুরীর সময়েও আমি ১ বার নিজেকে মানব সেবক হিসেবে ছিলাম।
পরবর্তীতে আব্বাস চেয়ারম্যানের সময়ে টানা ৩ বার এবং জনাব খাইরুল আলম চৌধুরী চেয়ারম্যানের সময়ে ১ বার সহ সর্বমোট ৭ বার মেম্বারের দায়িত্ব পালন করে এসেছি।
সাবেক ২নং ওয়ার্ড থেকে ৪ বার (বর্তমানে রত্নাপালং ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ড) এবং বর্তমান ৬ ওয়ার্ড থেকে তিন বার।অতিরিক্ত তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২ বছর ৪ মাসের বেশী সহ সর্বমোট ৩৯ বছর ১ মাস মেম্বারের দায়িত্ব পালন করে এসেছি।
চিরকুটে তিনি আরো লিখেন , আমি দীর্ঘ সময়ে রত্নাপালং ইউনিয়নের মানুষে কে নানাভাবে সেবা মূলক কর্মকান্ড দিয়েছি এবং উন্নয়নের কাজে রাস্তা-ঘাঠ,মসজিদ,মাদ্রাসা স্কুল সাইক্লোন সেন্টারসহ অনেক কাজ আমি নিজে করেছি। বর্তমানে ৬ নং ওয়ার্ডের পাকা রাস্তা, ইটের রাস্তা, কাঁচা রাস্তা সব আমার হাতের করা।
২,৩,৪ এবং ৫ নং ওয়ার্ডের বেশীরভাগ বড় বড় রাস্তাগুলো আমার করা। বর্তমান ৬ নং ওয়ার্ডে সর্বপ্রথম বিদ্যুতের ব্যবস্হা আমি করে দিয়েছিলাম। মেম্বার থাকা অবস্থায় রত্নাপালং ইউনিয়ন ও ইউনিয়নের বাহিরে ও আমি মানুষকে নানানভাবে সেবা দিয়েছি।
এসব কাজ ছাড়া ও আপনাদের অনেক বিচার-মীমাংশা এবং বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেছি। আপনাদের সেবা করতে গিয়ে এবং বিচার-মীমাংশা করতে গিয়ে অজান্তে আমি যদি কোন ভুল-ত্রুটি করে থাকি দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন।
আমি খুব অসুস্থ। বর্তমানে আমার ৪ ছেলে এবং ২ মেয়ে জীবিত। বড় ছেলে খুব অসুস্থ,সবাই তার জন্য দোয়া করবেন। আমার জন্য এবং আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।