রাজধানীর খিলগাঁওয়ে দ্বিতীয় জানাজা নামাজ শেষে মেরাদিয়া কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতুকে। রোববার রাত ১১টা ৫৫মিনিটের দিকে মেরাদিয়া কবরস্থানে দাফন করা হয় তাকে।
এর আগে রোববার রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে খিলগাঁওয়ের ভূইয়াপাড়াস্থ বাসা নং ২২০/এ বাসায় পৌঁছে চট্টগ্রামের এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতুর (৩২) মরদেহ।
এসময় সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। স্বজনদের আহাজারিতে চারিদিকের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে। নিকটস্থ আত্মীয় স্বজন, স্বামী বাবুলের স্বজন ও সজ্জ্বন পুলিশ সদস্যরা বাসা আসেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বিমানে করে মিতুর মরদেহ ঢাকায় আনার কথা থাকলেও তাৎক্ষণিক সমস্যার কারণে এম্বুলেন্সে করে আনা হয়। রাত পৌনে ১১টায় জানাজা নামাজের কথা থাকলেও অনেক আত্মীয়- স্বজন উপস্থিত না হওয়ার কারণে জানাজা দেরিতে হয়।
এর আগে রোববার বিকেল সোয়া ৩টায় চট্টগ্রামের দামপাড়া পুলিশ লাইন মাঠে তার প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়। নিহতের বাবা মোশাররফ হোসেন চট্টগ্রাম গিয়ে মেয়ের মরদেহ ঢাকায় নিয়ে আসেন।
উল্লেখ্য, পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতুকে এক মিনিটের কমান্ডো অভিযানে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। মাহমুদার শরীরে ছুরিকাঘাতের আটটি চিহ্ন পাওয়া যায়। হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন দুর্বৃত্তদের সময় ব্যয় হয় মাত্র ৪০ থেকে ৫০ সেকেন্ড।
পুলিশ জানায়, মোটরসাইকেলে থাকা তিন যুবকের মধ্যে একজন মাহমুদাকে প্রথমে ছুরিকাঘাত করে, আরেকজন গুলি করে চলে যায়। ঘটনাস্থল থেকে সংগৃহীত সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখে পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) পরিতোষ ঘোষ জানান, সন্ত্রাসীরা বাবুল আক্তারের স্ত্রীর শরীরে আটটি ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করতে খুব কাছ থেকে গুলি করে।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের পরিদর্শক কবির হোসেন বলেন, মোট ১০টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আটটি ছুরিকাঘাত। একটি মাটিতে পড়ে যাওয়ায় জখম। বাকিটি বুলেট বিদ্ধ হওয়ার। খুনিরা পরিকল্পনা অনুযায়ী এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
পেছনের দিক থেকে মেরুদণ্ডের দুপাশে ‘এল শেফ’ বা ‘এল’ আকৃতির ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। বাম হাতের উপরেও ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। সবশেষে খুব কাছ থেকে সেভেন পয়েন্ট সিক্স ফাইভ এমএম পিস্তল দিয়ে গুলি করা হয় বলেও জানান তিনি।
পাঠকের মতামত