কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রাশেদ মাহমুদ আলী আত্মগোপনে থাকায় সাধারণ জনগণ সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন। নাগরিক সেবা বঞ্চিত এসব মানুষ নিজের প্রয়োজনী কাজ করতে চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন।
ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ ও ইউপি সদস্যরা জানিয়েছেন, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী পরিষদে যাননি। এর পর ছাত্র আন্দোলনের হামলার ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলার অভিযুক্ত হওয়ার পর পুরোদমে আত্মগোপনে রয়েছেন তিনি। ফলে ৩ মাসে জন্ম-মৃত্যু সনদ, চারিত্রিক সনদ, প্রত্যয়ন পত্র, ভোটার হালনাগাদ, স্মার্ট কার্ড বিতরণে তৈরি হয়ে নানা জটিলতা।
হ্নীলা ইউনিয়নের আলী আকবর পাড়ার বাসিন্দা আবুল কাসেম জানান, তিনি পার্সপোট করতে চেয়ারম্যানের প্রত্যয়ন পত্র জরুরি হয়ে উঠেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য দ্বারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করার পরও এই পর্যন্ত প্রত্যয়ন পত্রটি হাতে পাননি। ফলে তার বিদেশ যাত্রা অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
ছেলে জন্ম নিবন্ধন পত্র জন্য গত ৩ মাস ধরে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে চেয়ারম্যানের দেখা পাননি মৌলভী পাড়ার রহিম উদ্দিন।
সিকদার পাড়ার রশিদ আহমদ জানান, সম্প্রতি ইউনিয়নের স্মার্ট কার্ড বিতরণ হয়েছে। ওখানে গিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃিষ্টি হয়। কার্ড বিতরণ বন্ধ করে দেয়। নতুন করে আর তারিখ পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে চলমান ভোটার হালনাগাদ নিয়ে চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে আটকে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বয়ং কয়েকজন ইউপি সদস্য। তাদের দাবি আর্থিক লেনদেনের ক্ষমতা না থাকায় নিয়মিত কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে অকার্যকর একটি ইউনিয়নে পরিণত হয়ে গেছে।
জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষ ইউনিয়ন পরিষদের সেবা স্বাভাবিক করতে সরকারের দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। সূত্র দৈনিক কক্সবাজার
পাঠকের মতামত